Cricket টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ-২ এর চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ভারত। সমান চারটি করে পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের হাতছানি দুই দলেরই সামনে। বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে সেরা সময় কাটানো বাংলাদেশ







নির্ভার হয়ে মাঠে নামছে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেই দিলেন, ভারতই ফেভারিট। কিন্তু তার দাবির সঙ্গে একমত নয় ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ফেভারিট মানতে নারাজ তিনি। মঙ্গলবার ম্যাচের আগের







সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, এই ম্যাচে ভারত এগিয়ে। শক্তিমত্তা, পরিসংখ্যান, বর্তমান ফর্ম- সব দিক থেকে তাদেরকে ফেভারিট মানতে দ্বিমত থাকার কথা নয় কারও। সাকিব বলেন, ‘ভারত ফেভারিট টিম। তারা বিশ্বকাপ জিততেই এসেছে।







আমরা ফেভারিট না, আমরা এখানে বিশ্বকাপ জিততে আসিনি। ভারতের বিপক্ষে আমরা যদি জিততে পারি, তাহলে এটি অঘটন হবে। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো। আমরা অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করবো।’ কিন্তু সাকিবের







কথায় বিগলিত হতে চান না দ্রাবিড়। শেষ চারে ওঠার এই গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সম্মান করছে ভারত, জানালেন কোচ, ‘বাংলাদেশকে ভারত খুব সম্মান করে। তাদের বিপক্ষে খেলার আগে যথাযথ অনুশীলন ও প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’







এমনকি ভারতের বিপক্ষে ১১ টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ মাত্র একটি জিতলেও এই ফরম্যাটে পরিসংখ্যান কাজে লাগে না মনে করেন দ্রাবিড়, ‘বাংলাদেশকে আমরা যথেষ্ট সমীহ করি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এমন, যেখানে আগে থেকে কিছু বলা যায় না। দুটো শট এদিক-সেদিক গেলেই জয়-পরাজয়ের পার্থক্য তৈরি হয়ে যেতে পারে।’ এই আসরে আয়ারল্যান্ড হারিয়ে
দিয়েছে ইংল্যান্ডকে, জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। তাই শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে জয় নিশ্চিত ধরে নেওয়া হবে বোকামি। দ্রাবিড় বললেন, ‘চলতি বিশ্বকাপেই এমন অনেক ম্যাচ হয়েছে যেখানে অঘটন ঘটেছে। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট ও কন্ডিশনও বিভিন্ন দলের মধ্যে ফারাক এনে দিতে
পারে।’ অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন একেবারে আলাদা, মাঠের আকারও বেশ বড়। তাই উপমহাদেশে যে শটে চার-ছক্কা হাঁকানো যায়, সেটা এখানে কঠিন মনে করেন দ্রাবিড়, ‘অস্ট্রেলিয়ায় উপমহাদেশের মতো চালিয়ে ব্যাটিং করা যাচ্ছে না, শেষে রানের গতি বাড়ানো যাচ্ছে না। অনেক উইকেট থেকে বোলাররাও ভালো সাহায্য পাচ্ছেন। ফলে তথাকথিত ভালো দলগুলির সঙ্গে
অন্য দলের তেমন কোনও ফারাক থাকছে না।’ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও ওই ম্যাচের মতো একই পরিকল্পনা বাংলাদেশের বিপক্ষেও থাকবে বলে কোচ জানালেন। আর বৃষ্টির চোখ রাঙানি নিয়ে বললেন, ‘এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। যা হবে, সেভাবে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে।’ এই বাংলাদেশের কাছে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনের শিকার
হয়েছিল ভারত, যা তাদের বিদায়ের পথ দেখিয়ে দিয়েছিল। যদিও সেটা ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটের। তারকাখচিত সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন দ্রাবিড়। একে তো ফরম্যাটের কারণে আগেভাগে কিছুই বলা যায় না, তার ওপর আবার ১৫ বছর আগের সেই অভিজ্ঞতা- স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশকে সমীহ তো করবেনই দ্রাবিড়!