






একদিকে কাতার বিশ্বকাপ শুরুর ক্ষণ গননা চলছে, অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে মানবিক বিপর্যয়ের অভিযোগে এই টুর্নামেন্ট বয়কটের আহবান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ফ্রান্স এবং জার্মানিতেও চলছে







বিশ্বকাপবিরোধী প্রচারণ। দুটি দেশই এবারের বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের জন্য অন্যতম ফেবারিট। শ্রমিক নির্যাতন এবং পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন







সচেতন মানুষ। বন্ধ করা হচ্ছে বড় পর্দায় খেলা দেখানো। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফ্রান্সের বেশিরভাগ শহরে বিশ্বকাপ বর্জনের আওয়াজ উঠেছে। এবার আর শহরের বিভিন্ন স্থানে বড়







স্ক্রিনে খেলা দেখানো বা ‘ফ্যান জোন’ তৈরি করা হবে না। তাই অনেক ফরাসিই এবার বিশ্বকাপ দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। অন্যদিকে জার্মানির ফুটবল বারগুলো এবার টিভিতে বিশ্বকাপের খেলা







দেখানো বন্ধ রাখবে। কাতারের অভিবাসী শ্রমিক ও এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এসব উদ্যোগ। শুধু সাধারণ জনগনই নয়, নগরের হর্তাকর্তাদের পক্ষ থেকেও বিশ্বকাপ







বর্জনের বার্তা আসছে। মার্শেইয়ের মেয়র বেনয়ট পায়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কাতারের এই টুর্নামেন্টটা মানবিক ও পরিবেশগত বিপর্যয়ে মোড় নিচ্ছে। খেলা, বিশেষ করে ফুটবলের মাধ্যম যে মূল্যবোধ







ছড়িয়ে পড়ার আশা আমরা করি, কাতার সেটির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। ‘ প্যারিসের সিটি হলের ডেপুটি ইনচার্জ অব স্পোর্ট পিয়েরে বারাদান বলেন, ‘ফ্যান জোন স্থাপনের প্রশ্নই আসে না। ‘ এছাড়া বার্লিনের







ফারগো ফুটবল বারের মুখপাত্র জসচিক পেচ বলেন, ‘আমরা কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে নই। খেলা আয়োজনের মাধ্যমে তারা এমনভাবে নিজেদের তুলে ধরছে, যেটা তারা আসলে নয়।







যেখানে যৌনজীবন মুক্ত নয়, সেখানকার খেলা দেখে আমরা উপভোগ করতে পারি না। ‘ তবে এসব সমালোচনা এবং প্রতিবাদকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বকাপের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কাতার।
আগামী ২০ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ৩২ দলের শিরোপা লড়াই।