






কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র ২২ বছর বয়সী উইঙ্গার আন্তনি। ক্লাব ফুটবলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রথম ফুটবলার হিসেবে নিজের প্রথম তিন ম্যাচেই গোল করেছেন!







এই তরুণের ওপর ভরসা রেখেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। কিন্তু সাও পাওলোর ওসাসকোতে জন্ম নেওয়া আন্তনির জীবনটা এত সহজ ছিল না। তিনি নিজেই বলেছেন, তার জন্ম হয়েছিল ‘নরকে’! কারণ







ওই সময় ওসাসকো ছিল ড্রাগ ডিলারদের স্বর্গ। মাদক গ্রহণ, মারামারি, খুনোখুনি সেখানে লেগেই থাকত। দ্য প্লেয়ার্স ট্রিবিউনে এক কলামে আন্তনি লিখেছেন, ‘আমার জন্ম নরকে। এটা মোটেও







কৌতুক নয়। আমার যেসব ইউরোপিয়ান বন্ধু জানেন না তাদের বলছি, সাও পাওলোর যে বস্তিতে আমি জন্মেছি, তাকে বলা হয় ছোট্ট দোজখ। মানুষ হিসেবে যদি আমাকে বুঝতে চান, তাহলে







অবশ্যই আমি কোথা থেকে এসেছি, তা বুঝতে হবে। জানতে হবে আমার ইতিহাস ও শিকড় সব সেখানেই। সেটা ছিল ড্রাগ ডিলারদের স্বর্গ। জানালা দিয়ে মাদকের গন্ধ ঢুকে পড়ত। আমার বাবা সব







সময় এর প্রতিবাদ করতেন। ’ নিজের শৈশবের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়ে আন্তনি আরো লিখেছেন, ‘তখন আমার বয়স ৮ অথবা ৯ বছর। গলির রাস্তায় দেখলাম এক লোক পড়ে আছে। শরীরটা নিথর।







কাছে গিয়ে বুঝলাম সে মৃত। ফ্যাভেলায় এসব দৃশ্যের সঙ্গে সবাই অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর কোনো পথ নেই। যেহেতু আমাকে স্কুলে যেতে হতো, তাই চোখ বন্ধ করে লাফ দিয়ে লাশটা পেরিয়ে হাঁটতে







থাকি। বাস্তবতা এমন হলেও আমি ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে একটা উপহার পেয়েছিলাম―ফুটবল। এটাই আমাকে বাঁচিয়েছে। ’ ১১ বছর বয়স পর্যন্ত বাবা-মায়ের সঙ্গে এক বিছানায়







ঘুমাতেন আন্তনি। এরপর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ায় তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। আন্তনি আরো লিখেছেন, ‘বিছানায় আগে যেকোনো পাশ ফিরলেই বাবা অথবা মাকে পেয়েছি। কিন্তু সেই ঘটনার পর







পাশ ফিরে মাকে পাইনি। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, এই অবস্থা থেকে বের হতে হবে। মিডিয়া সব সময় জানতে চায়, আমার স্বপ্ন কী? চ্যাম্পিয়নস লিগ? বিশ্বকাপ? ব্যালন ডি’অর? এগুলো স্বপ্ন নয়। এগুলো লক্ষ্য।
আমার স্বপ্ন ছিল মা-বাবাকে ফ্যাভেলা থেকে বের করে আনা। ’