






টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নজিরবিহীন ব্যর্থতায় যে ঝড় উঠেছিল ভারতের ক্রিকেট অঙ্গনে, তা কিছুটা কমল অবশেষে। তবে এজন্য বিরাট এক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বিসিসিআইকে। কোহলি-রোহিতরা







বাজেভাবে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ায় গোটা নির্বাচক প্যানেলকে বহিস্কার করেছে ভারতীয় বোর্ড। ভারতের ক্রিকেটে তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেও এমন দৃষ্টান্তকে নজিরবিহীন বলা







চলে। শুক্রবার বিকালে এই বড় সিদ্ধান্ত নেন বোর্ডের কর্তারা। অবশ্য সরাসরি বহিস্কারের কথা উল্লেখ না করে বোর্ডের ওয়েবসাইটে নতুন নির্বাচক প্যানেলের পদগুলোর জন্য আবেদনপত্র চাওয়া







হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচক হতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কিছু যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেমন- ভারতের জার্সিতে অন্তত ৭টি টেস্ট খেলতে হবে, অথবা







অন্তত ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, অথবা ১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও অন্তত ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা থাকলেও চলবে। আবেদনকারীকে অন্তত ৫ বছর আগে ক্রিকেট







থেকে অবসর নেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে। তবে বিসিসিআইয়ের কোনো ক্রিকেট কমিটিতে অন্তত ৫ বছর সময় পার করা কেউ নির্বাচক পদে আবেদন করতে পারবেন না। ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা







পর্যন্ত যেসব আবেদন জমা পড়বে, তার প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত নির্বাচন হবে নির্বাচক প্যানেলের। চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলে আরও ছিলেন দেবাসিস মহান্তি, হরবিন্দর সিং ও বাংলাদেশের







সাবেক বোলিং কোচ সুনীল জোশি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠলেও সেখানে ইংল্যান্ডের কাছে দৃষ্টিকটু পরাজয় বরণ করে ভারত। ৪ ওভার বাকি থাকতেই







ভারতকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ইংলিশরা। এতে ভারতের সব দুর্বলতা আর ব্যর্থতা যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জেরে কোচিং প্যানেল থেকে স্কোয়াড-সবকিছুতেই
পরিবর্তন আসার একটা আভাস মিলেছিল। তবে শুরুটা হল নির্বাচক প্যানেলকে বহিস্কার করার মাধ্যমে। এমন সিদ্ধান্ত দেখে এখন বাংলাদেশ নির্বাচক প্যানেল নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন স্যোশ্যাল
মিডিয়ায়। দল খুব একটা ভালো অবস্থানে না থাকা সত্ত্বেও নীরব কেন বিসিবি? কেনই বা নীরব ভূমিকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। ভারতের নির্বাচকদের বিরুদ্ধে
মূল অভিযোগ, তারা পারফরম্যান্সের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন অভিজ্ঞতাকে। আর সেই অভিজ্ঞদের পথে হাঁটতে গিয়ে মডার্ন ক্রিকেটের কাঠামো থেকে বিশ্বকাপে অনেকটাই বের হয়ে এসেছিল ভারত।
ফলে দলের ব্যর্থতার পেছনে নির্বাচক প্যানেলের সিদ্ধান্তের দায়ই সবচেয়ে বেশি দেখা হচ্ছিল। ক্রিকেটারদের কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে, কোনো ক্রিকেটারকে কেনই বা দলে নেওয়া হচ্ছে- নির্বাচক প্যানেল
এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ ছিল। আর তাই মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই চাকরি হারালেন ৪ নির্বাচক। প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচক হিসেবে চেতন শর্মা বছরে ১ কোটি রুপি এবং বাকি তিন নির্বাচক বছরে ৯০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক পেতেন।