






বিশ্বকাপের পর ভারতের টি২০ স্কোয়াডে একাধিক অদলবদলের আওয়াজ উঠেছে। কোচ থেকে সিনিয়র প্লেয়ার- হঠানোর দাবি উঠে গিয়েছে। আর ব্যর্থতার এই আবহেই ভারতীয় দল নিয়ে মুখ খুললেন







স্বয়ং রবি শাস্ত্রী। একাধারে রাহুল দ্রাবিড়কে যেমন আক্রমণে ভাসিয়ে দিলেন। তেমন নতুন অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার নামও ভাসিয়ে দিলেন। বলে দিলেন, টি২০ ফরম্যাটে হার্দিক ক্যাপ্টেন হলে,







রোহিতের ওপর চাপ অনেক লাঘব হবে। শুক্রবার ভারত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্ৰথম টি২০ খেলতে নামছে। তার আগে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে রবি শাস্ত্রী স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে খুল্লামখুল্লা নিজের







মনোভাব জানিয়ে গেলেন, “টেস্ট এবং ওয়ানডেতে রোহিত নেতৃত্ব চালিয়ে গেলে টি২০-তে নতুন অধিনায়ক নিয়োগ করায় ভুল কিছু হবে না। নতুন ক্যাপ্টেন যদি হার্দিক পান্ডিয়া হয়, হোক। এখন







এত বেশি ক্রিকেট খেলতে হয় যে তিন ফরম্যাটে টানা খেলে চলা মোটেই সহজ নয়।” জাতীয় দলের সিনিয়রদের সঙ্গেই নিউজিল্যান্ড সফরে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। কিউই







সফরে দায়িত্ব সামলাবেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। সাপোর্ট স্টাফরাও থাকছেন না নিউজিল্যান্ড সফরে। হেড কোচকে বিশ্রাম দেওয়ার তত্ত্বে অবশ্য সায় নেই রবি শাস্ত্রীর। তিনি জানাচ্ছেন, “কোচের ব্রেক







নেওয়া তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। কারণ নিজের দলকে, ক্রিকেটারদের বোঝা, দলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখা আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই যে এত ব্রেক, সত্যি কথা বলো তো, কীসের প্রয়োজন







এর? আইপিএলে তো ২-৩ এমনিই বিশ্রাম পাবে। কোচ হিসেবে সেই বিশ্রাম তো পর্যাপ্ত। অন্য সময় কোচকে সবসময় দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত। অন্তত আমার ধারণা।” নতুন ভারতীয় দল কেমন







হওয়া উচিত? শাস্ত্রী জানাচ্ছেন, “ভিভিএস ঠিক কথাই বলেছে। এখন থেকেই তরুণ স্পেশ্যালিস্টদের শনাক্ত করতে হবে। এটাই সাফল্যের প্রধান মন্ত্র। এখন থেকেই আগামী দুই বছরের জন্য প্ল্যানিং কষতে
হবে। এমন একটা দল বানাতে হবে যাঁরা নির্ভীক, ফিল্ডিংয়েও দুর্ধর্ষ। কোনও পিছুটান ছাড়াই যাঁরা মাঠে নেমে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।” “ইংল্যান্ডের টেমপ্লেট আমাদেরও ফলো করতে হবে। যেটা
ওঁরা ২০১৬-র পর থেকে করে আসছে। ম্যাচ উইনার এবং দায়িত্বশীল ক্রিকেটারদের নির্বাচন করতে হবে। ওঁরা পরিকল্পনা করে দেখেছে ওয়ানডে হোক বা টি২০ সেরা ক্রিকেটারদের নির্বাচন করতে হবে।
এতে যদি বড়বড় নাম কে বাইরে বসতে হয়, সেটাই হোক। ওঁরা এমন ক্রিকেটার নির্বাচন করেছে যাঁরা ভয়ডরহীন ক্রিকেটটা খেলতে পারে। ভারতেও পর্যাপ্ত ক্রিকেটার রয়েছে। এই নিউজিল্যান্ড সফর
থেকেই সেই টেমপ্লেট ফলো করা চালু হোক। কারণ এই যে ভারতীয় স্কোয়াড এরা একদম ফ্রেশ, নতুন। এদের সহজে গ্রুম করে আগামী বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা যেতে পারে।”