






ভারতের অনুষ্ঠান ‘সারেগামাপা’ থেকে পরিচিতি পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় ভারতকেই গালিগালাজ করলেন গায়ক নোবেল। সেজন্য তাঁকে







ভারতে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়, সেই দাবি তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। গত বুধবার অ্যাডিলেডে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস নিয়মে বাংলাদেশকে পাঁচ রানে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। তারপরও







নেদারল্যান্ডসের সৌজন্যে (দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়ায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ ভার্চুয়াল কোয়ার্টার-ফাইনাল হয়ে গিয়েছিল) বাংলাদেশের সামনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার







সুযোগ এসে গিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে ছিটকে গিয়েছেন শাকিব আল হাসানরা। তারপরই রবিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে প্রথমে আইসিসিকে আক্রমণ শানান নোবেল।







‘ICC’-কে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলেন। গালিগালাজ করেন। সেইসঙ্গে ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সেই ভারতকে নিয়ে চূড়ান্ত নোংরা এবং অশ্লীল মন্তব্য (যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তা ছাপার অযোগ্য)







করেন নোবেল। যিনি হামেশাই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে চলে আসেন। সেই পোস্টে অনেকেই নোবেলকে ট্রোল করতে থাকেন। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের তিনদিন পর কেন সেই পোস্ট করলেন,







তা নিয়ে ট্রোলের মুখে পড়েন নোবেল। একজন বলেন, ‘এতদিন পর নেশা কাটল। পিওর জিনিস ছিল মনে হয়।’ এক বাংলাদেশি নেটিজেন আবার বলেন, ‘হাইলাইটস দেখলেন নাকি?’ অপর একজন মন্তব্য







করেন, ‘ভাইয়ের মনে হয় নেট শেষ হয়ে গিয়েছিল,তাই পোস্ট আটকে গিয়েছিল।’ তারইমধ্যে আবার অনেক বাংলাদেশি নোবেলকে সমর্থন করেন। তেমনই এক বাংলাদেশি বলেন, ‘এই পোস্টের কারণে







নোবেলকে ক্ষমা করে দিলাম।’ একইসুরে অপর একজন বলেন, ‘প্রথমবার আপনার পোস্ট লাভ রিয়্যাক্ট দিলাম।’ আবার এক বাংলাদেশি নেটিজেন কমেন্ট করেন, ‘ভাই অনেক দিন পর একটা অসাধারণ







পোস্ট।’ অপর এক বাংলাদেশি নেটিজেন বলেন, ‘দারুণ কাজ করেছেন।’ তবে ভারতের নামে গালিগালাজ করায় অনেক বাংলাদেশিও তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন নোবেলকে। তেমনই একজন বলেন,







‘এভাবে বলতে নেই, আপনি কিন্তু ইন্ডিয়ার মাধ্যমে আজ নোবেল ম্যান। এর আগে আপনাকে কোনও শিয়াল-শকুনও চিনত না। আপনার মতো একজন সেলিব্রিটির কাছ থেকে এমন ভাষা আশা করিনি।
আপনি অন্যভাবে বলতে পারতেন।’ অপর এক বাংলাদেশি বলেন, ‘কিন্তু জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেই ইন্ডিয়ার কারণেই।’ আর ভারতীয়রা তো নোবেলকে ছেড়ে কথা বলেননি। এক ভারতীয় নেটিজেন বলেন, ‘যার
খেয়ে বড় হলি, তাকে অপমান করতে লজ্জা লাগে না?’ একজন আবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে মেনশন করে কমেন্ট করেন, ‘কিছু বলবেন দাদা? একটু দেখবেন যাতে পশ্চিমবঙ্গ
সরকার কোনওদিন একে ঢুকতে না দেয়। কোন চ্যানেলে যাতে সুযোগ না পায়।’ অনেকে আবার নোবেলের ভাষায় নোবেলকেই পালটা দিয়েছেন