






ভারতের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে শেষ বলে হেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের অন্যতম হট ফেভারিট এই দলের চোখে চোখ রেখে লড়েছে টাইগাররা। যদিও শেষ পর্যন্ত হেরেছে, তারপরও এই ম্যাচ থেকে







অনেক কিছু পাওয়ার আছে বলে মনে করেন শ্রীরাম। তার মতে, ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কাছাকাছি যেতে পেরেছে দল এবং লক্ষ্য অর্জন থেকে খুব বেশি দূরে নয়। গত কয়েক মাস ধরেই টি-টোয়েন্টিতে







হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে চলমান বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। যার ফলে কাগজে-কলমে এখনও টিকে আছে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন। ম্যাচ







জয়ের হিসেব কিংবা পারফরম্যান্স সবদিক থেকেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা আসর এটি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল







রেকর্ড। সুপার টুয়েলভ পর্বে এটিই ছিল বাংলাদেশ প্রথম জয়। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও জিতেছে টাইগাররা। প্রথম রাউন্ড ছাড়া এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো আসরে একাধিক







ম্যাচ জিতেছে তারা। শ্রীরাম বলেন, ‘দিনশেষে হার তো মাত্র ৫ রানের…শেষটুকু ঠিক-ঠাক করতে না পেরে ড্রেসিং রুমে সবাই হতাশ ছিল অবশ্যই এবং তারা উপলব্ধি করেছে, কতটা সুবর্ণ সুযোগ তারা







হাতছাড়া করেছে। তবে দলের জন্য দারুণ শিক্ষীয় এটি এবং দলকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। ভারতের মতো একটি দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যদি এত কাছাকাছি যাওয়া যায়, তাহলে (লক্ষ্য) খুব বেশি







দূরে নেই।’ শক্তিমত্তার বিচারে বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে ছিল ভারত। ম্যাচের আগে স্পষ্ট ফেভারিট ছিল রোহিত শর্মার দল। কিন্তু বাইশগজে দুই দলের পারফরম্যান্সে খুব একটা পার্থক্য ছিল না। যার







শুরুটা হয়েছিল তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। আর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস। তার ব্যাটেতো রীতিমতো ভয় ধরেছিল রোহিতের দলের। তবে লিটনের সেই
ঝড় থামিয়েছে অ্যাডিলেডের বৃর্ষ্টি। শেষ পর্ন্ত ডিএল মেথডে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বলেন, ‘খেলা শুরু হওয়ার আগে যদি কেউ বলত যে আমরা ভারতের কাছে
৫ রানে হারবো, তাহলে যে কেউ হয়তো তা লুফে নিত। আমরা নিজেদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলাম যে ভারতকে হারাতে পারতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত আমরা পারিনি। তবে এতটা কাছাকাছি
যেতে পেরে ছেলেরা অনেক আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে।’