






টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোববার (১৩ নভেম্বর) মাঠে নামবে পাকিস্তান। ১৯৯২ সালে এই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই পাকিস্তানকে শিরোপা এনে দেন ইমরান খান। এবার সেই







সুযোগ বাবর আজমের সামনেও। ’৯২ এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে মাঠে নিজেদের সেরাটা দেয়ার কথা জানান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ৩০ বছর আগের সেই বিশ্বকাপের ফাইনালও হয়েছিল







মেলবোর্নে। এবারের ফাইনালও মেলবোর্নে। সেবার ইংল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এবার পাকিস্তান তাদেরকে হারাতে পারবে কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে, পাকিস্তানের অধিনায়ক







বাবর আজম জানিয়েছেন শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে তার দল। ১৯৯২ বিশ্বকাপে খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়ে ইমরানের ‘কর্নার্ড টাইগার্স’ ঘুরে দাঁড়িয়ে শিরোপা জয় করেছিল। এবারও প্রথম







দুই ম্যাচ হেরে বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা দল ফাইনালে উঠে গেছে। সেই একই মাঠে এবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশায় বাবর। “অবশ্যই (ছুঁতে চাই ১৯৯২ সালের সাফল্যকে) …! আমাদের শুরুটা ভালো







ছিল না। এরপর যেভাবে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বাঘের মতোই খেলেছে সবাই। আশা করি এটা ধরে রাখব আমরা এবং যে মোমেন্টাম আমাদের আছে, তা ফাইনালেও কাজে লাগাব। গত চার ম্যাচে দল







হিসেবে যেমন, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও ছিল দারুণ কিছু।” “আগেও আমরা বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলেছি, এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলেছি। এই ধারাবাহিকতা তাই বেশ কিছু সময় ধরেই চলছে।







তবে আমাদের স্বপ্ন ট্রফি জয়ের। আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস আছে, পরস্পরের প্রতি আস্থা আছে যে আমরা পারব। ফাইনালে উঠেছি, চেষ্টা থাকবে ভালো করার।” সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে







হারিয়েছে দারুণ পারফর্ম করে। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে পাকিস্তানের কোচ সাকলায়েন মুস্তাক পাকিস্তানের ভাগ্য নিয়ে বলেছিলেন ‘কুদরত কী নিজাম’ (প্রকৃতির







খেয়াল)। তার বলা ওই কথা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। পাকিস্তানের হারতে হারতেও বারবার ফিরে আসায় মূলত এখন আলোচনায় কথাটি। এ নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালের







আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নও যায় বাবর আজমের কাছে। তিনিও বলছেন, আল্লাহর ইচ্ছেতেই তারা ফাইনালে। বাবর বলেছেন, “আমরা আল্লাহতে বিশ্বাস করি। যা কিছু ঘটে, আল্লাহরইচ্ছেতেই। তিনি







আমাদের সুযোগ দেন, আমরা শুধু চেষ্টাকরতে পারি। আমরা চেষ্টা করি নিজেদের সেরাটাদেওয়ার। ফলাফল আল্লাহর হাতে। আল্লাহ দেওয়াসুযোগটা আমরা লুফে নিয়েছি। আল্লাহ কাছে আমরাকৃতজ্ঞ।
তার দয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি এবং আশাকরছি তিনিই আমাদের ফাইনালে জেতাবেন।” বিশ্বকাপে নিজেদের পথচলা নিয়ে তিনি বলেছেন, “প্রথম দুই ম্যাচে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসেছি
শেষ চার ম্যাচে। আমরা খুব ভালো পারফর্ম করেছি। আমি স্নায়ু চাপের চেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে চাপ আছে। কিন্তু এটা কেবল নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসের মাধ্যমে
কাটানো যাবে। আর ভালো ফলের জন্য কারো ভালো করা জরুরি।”