






সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে এখনো সেমিফাইনালে যাওয়ার রেসে রইলো তারা। সেই সঙ্গে সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশেরও।







এদিকে প্রোটিয়াদের হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ম্যান ইন গ্রিনরা। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পয়েন্ট এক হলেও রান রেটে এগিয়ে থেকে টাইগারদের টপকায় তারা। বড় রানের







লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই হানা দেয় বৃষ্টি। ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় ম্যাচ। তবে বৃষ্টি আইনে আফ্রিকার







নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ বলে ৭৩ রান। যা এক প্রকার অসম্ভবই। তবে গোল বলের ক্রিকেটে অসম্ভব বলে কিছু নেই। বৃষ্টির পর মাঠে নেমেই পাক বোলারদের শাসন করতে থাকে হেনরিখ ক্লাসেন এবং







ত্রিসান স্টাবস। ব্যক্তিগত ১৫ রান করে ফিরে যান ক্লাসেন। এরপর আর ম্যাচের গুরুত্ব তৈরি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ধারাবাহিকভাবেই হারিয়েছে উইকেট। ক্রিজে থাকা ব্যাটার স্টাবস অবশ্য







ফিরেছেন ১৮ রান করে। শেষ ওভারে ৪১ রানের প্রয়োজন হলে সেটা সংগ্রহ করা অসম্ভব ছিল। তবে নির্ধারিত ওভার শেষে আফ্রিকা সংগ্রহ করে ১০৮ রান। দিন শেষে ৩৩ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ







ছাড়ে বাভুমার দল। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। এছাড়া, দুই উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান। বৃষ্টি শুরুর আগে বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড়







তোলেন টেম্বা বাভুমা। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষ তিন ম্যাচের ব্যর্থ এই ব্যাটার এদিন খোলোস ছেড়ে যেনো বেরিয়ে আসেন। ৪ চারের সঙ্গে ১ ছয়ে ১৯ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান এই
অধিনায়ক। তবে এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ডি কক এবং রাইলি রুশো। মাঝের সময় এইডেন মার্করাম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ২০ রানে তিনি ফিরে যান। এর আগে আজ সিডনিতে টস জিতে
ব্যাটিং নিয়ে যেন বিপদই ডেকে আনে পাকিস্তান দল। শুরুতেই দলের তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায়। এরপর অবশ্য নতুন করে দলে যুক্ত হওয়া মোহাম্মদ হারিস দ্রুত রান তোলার
চেষ্টা করেন। ৩ ছয় ২ চারে ১১ বলে ২৮ করে বিদায় নেন হারিসও। খানিকবাদেই আবার পাক শিবিরে আঘাত, ৪ রান করে ফিরে যান বাবর আজম। পরপর চার ম্যাচেই সিঙ্গেল ডিজিটের রানে বিদায়
নেন এই অধিনায়ক। এরপর শান মাসুদ ২ রানে ফিরে গেলে ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপ পড়ে পাকিস্তান। তবে সাময়িক সেই চাপ সামাল দেন মোহাম্মদ নাওয়াজ এবং শাদাব খান। যদিও
ব্যক্তিগত ২৮ রান করে দলীয় ৯৫ রানে নাওয়াজ বিদায় নেন। এরপরেই শুরু হয় পাকিস্তানি ব্যাটারদের ঝড়ো ইনিংস। ইফতিখার আহমেদ এবং শাদাব খান মিলে শুরু করেন ছয়-চারের বন্যা। প্রোটিয়া
বোলারদের একের পর এক বল আছড়ে ফেলেন সীমানার বাইরে। ৪ ছয় আর ৩ চারের সাহায্য ২২ বলে ৫২ রান করে ফিরে যান শাদাব। তখনো একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যাচ্ছিলেন ইফতিখার।
তবে অর্ধ-শতক করার পরই ফিরে যেতে হয় এ ব্যাটারকে। ৩৫ বলে ৫১ করেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। তবে শেষ ওভারে দলের হয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হন পাক ব্যাটাররা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বাবর আজমের দল সংগ্রহ করে ১৮৫ রান।