






আইসিসির হল অব ফেমে যুক্ত করা হয়েছে আরও তিনজন সাবেক ক্রিকেটারকে। তারা হলেন শিবনারায়ণ চন্দরপল, শার্লট এডওয়ার্ডস ও আবদুল কাদির। আইসিসির হল অব ফেমে যথাক্রমে ১০৭, ১০৮ ও







১০৯তম ব্যক্তি হলেন তারা। সিডনিতে আগামীকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচের আগে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই তিন ক্রিকেটারের হাতে স্মারক তুলে







দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটারদের একজন চন্দরপল। প্রায় ২১ বছরের







আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ক্যারিবিয়ানদের বহু সাফল্যের নায়ক তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ৫১.৩৭ গড়ে ১১৮৬৭ রান করেছেন তিনি। আর ওয়ানডেতেও আট হাজার এর বেশি রান আছে তার। সবমিলিয়ে







আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চন্দরপলের চেয়ে বেশি রান আছে মাত্র নয়জন ক্রিকেটারের। হল অব ফেমে যুক্ত হওয়ার পর চন্দরপল বলেছেন, ‘অতীতের অনেক বড় ক্রিকেটার ও কিংবদন্তিদের সঙ্গে একই পথে







হাঁটতে পারাটা দারুণ সম্মানের। এ স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞ আমি। এ মুহূর্তটা পরিবার, বন্ধু এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বিশ্বজুড়ে থাকা সমর্থকদের সঙ্গে উপভোগ করতে চাই। যাঁরা







ক্যারিয়ারজুড়ে আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন।’ ইংল্যান্ড নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন শার্লট এডওয়ার্ডস। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল তার। ২০০৯ সালে মেয়েদের







বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও শিরোপা জেতেন তিনি। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সময় মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল তার দখলে। এডওয়ার্ডস







বলেছেন, ‘আইসিসিকে ধন্যবাদ। বেশ বর্ণিল একটা তালিকায় যুক্ত হতে পারাটা অনেক সম্মানের। আমার পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ এবং সব কোচকে এ সুযোগে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের
প্রতিটি মিনিট উপভোগ করেছি আমি। আইসিসি হল অব ফেমে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত।’ চন্দরপল, এডওয়ার্ডসের সঙ্গে যুক্ত হওয়া আরেক ক্রিকেটার হলেন কাদির। পাকিস্তানের সাবেক এই লেগ স্পিনার
২০১৯ সালে মারা যান। ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৩৬টি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন কাদির, যা পাকিস্তানি স্পিনারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য
ছিলেন তিনি। বাবার হল অব ফেমে যুক্ত হওয়ার খবরে তার ছেলে উসমান কাদির বলেছেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে হল অব ফেমে আমার বাবাকে যুক্ত করার জন্য আইসিসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় সম্মানের এটি। এটিকে বিশাল অর্জন হিসেবে দেখছি আমরা। আজ আমাদের সঙ্গে থাকলে আমার বাবাও অনেক গর্বিত হতেন।’