Cricket রোমাঞ্চে ভরা ভারত-বাংলাদেশের সুপার টুয়েলভের ম্যাচের রেশ রয়ে গেছে বিরাট কোহলির ‘ফেক ফিল্ডিংয়ের’ ঘটনার কারণে। এই ‘ফেক ফিল্ডিংয়ের’ কারণে পাঁচ রানের পেনাল্টি পেতে পারতো ভারত, জিতে যেতে পারতো বাংলাদেশ!







যদিও আম্পায়ারের নজরে না আসায় এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তই নেয়া হয়নি। এমন ঘটনায় শোকের ঘোরেই আছে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেট অপারেশন্স কর্তা জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, সুযোগ মিললেই সংশ্লিষ্ট মহলে অভিযোগ করবে







বিসিবি। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে কোহলি ফেক থ্রো করেছিলেন। বল হাতে না নিয়েই থ্রো করার ভঙ্গি করেন। উইকেটে থাকা ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত তাৎক্ষনিক অভিযোগ করেন আম্পায়ারের কাছে। যদিও আম্পায়ার শান্তকে







জানান, এরকম কিছু তারা দেখেননি। এই ঘটনা মিডিয়ার সামনে আনেন নুরুল হাসান সোহান। ততক্ষণে অনলাইনে ভাইরালও হয়ে যায় কোহলির করা সেই ফেক বা নকল থ্রো’য়ের ভিডিও। যদিও এতে কেবল আফসোসই বেড়েছে। এ নিয়ে







ম্যাচের পরদিন জালাল বলেন, ‘ফেক থ্রো নিয়ে একটা ইস্যু ছিল। আম্পায়ারকে এটা নিয়ে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন যে তিনি এটা খেয়াল করেননি। মাঝখানে সাকিব এটা নিয়ে অনেক আলাপ করেছে এরাসমাসের (আম্পায়ার) সাথে। খেলার
পরও এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে।’ ‘কিছু হলেই যে বোর্ড দিয়ে আলাপ করা হবে, ব্যাপারটা এতো সহজ না। এটা স্কুল না, যে আপনি গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। এই ধরনের বিষয় না। তারপরেও এটা আমাদের মাথায় আছে, আমরা
যেন সঠিক জায়গায় এটা নিয়ে কথা বলতে পারি।’ এছাড়াও বৃষ্টি থামলে মাঠ অনেক ভেজা থাকার পরও খেলতে নামতে হয় বাংলাদেশকে। খেলা শুরুর মিনিট খানেক আগেও ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারদের বার বার ঘাস থেকে পানি
তুলে দেখাচ্ছিলেন সাকিব। অথচ মাত্র ১৫ মিনিটের নোটিশে খেলা শুরু হয়ে যায়। জালাল আরও বলেন, ‘মাঠ ভেজা নিয়েও আলাপ হয়েছিল (আম্পায়ারদের সাথে)। সাকিব বারবার বলছিল যে মাঠ অনেক ভেজা, আরেকটু শুকালে খেলা শুরু
করতে। কিন্তু আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সুযোগ ছিল না। সিদ্ধান্ত একটাই, আপনি খেলবেন কি খেলবেন না।’ অ্যাডিলেড ওভালে প্রথমে ব্যাটিং করে ভারত স্কোরবোর্ডে তোলে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান। জবাবে লিটন দাস পাওয়ার প্লে’তে ঝড়ো ইনিংস খেলতে পাল্টে দেন সব হিসাব। সঙ্গে যোগ হয় বৃষ্টি। আধা ঘন্টার ওপর হওয়া বৃষ্টির
বিরতিতে বদলে যায় সব হিসেব। বৃষ্টি থামলে পরিবর্তিত হয় বাংলাদেশের লক্ষ্য। ১৬ ওভারে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫১ রানের। অর্থাৎ, বাকি ৯ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৮৫ রান, হাতে সবগুলো উইকেট। বাংলাদেশ থামে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে। ৫ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।