






ভারতের বিপক্ষে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো পারফর্ম করেছেন ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টির মৌলিক বিষয়গুলি কিছুদিন আগ পর্যন্ত বুঝতে না পারা একটি দল, তর্ক সাপেক্ষে বিশ্বসেরা দলটিকে প্রায়







হারিয়েই দিয়েছিল। এইরকম পারফরমেন্সের পর বাহবা পেতেই পারেন টাইগাররা। শ্রীরাম এবং সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে টি টোয়েন্টিতে নতুন এক বাংলাদেশের দেখাই যেন মিলছে।







সাফল্যের এ ধারা এখন থেকে অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশাই করবেন সমর্থকরা। গণমাধ্যমে সাবেক ক্রিকেটার, বিশ্লেষক এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটার সবাই বারবার একটা কথাই বলছিলেন,







দু তিনটি ভাল ম্যাচই বদলে দিতে পারে দলের অবস্থান। বিগত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে আমরা যে ধরনের বাজে পারফরম্যান্স করেছিলাম আমরা ততটা খারাপ দল নই। তবে সে দু







একটি ম্যাচই খুঁজে পাচ্ছিলো না সাকিব বাহিনী। অবশেষে বিশ্বকাপ মঞ্চেই পালা বদলের হাওয়া বইতে শুরু করলো। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও বোলিংয়ের দুর্দান্ত







পারফরমেন্সের সৌজন্যে ৯ রানের জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে তিন রানের জয়। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে প্রভাব বিস্তার করে খেললেও পাঁচ রানের হার দিয়ে







দিন শেষ করতে হয়েছে টাইগারদের। বছরখানেক ধরে খেলার মাঝ পথেই হেরে যাওয়া দলটি, শেষ পর্যন্ত লড়াই করা শুরু করেছে, চাপের মুহুর্তেও মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জেতা শুরু করেছে।







এ সবই বাংলাদেশের উন্নতির দিকেই ইঙ্গিত করে। বিশ্বকাপে আরো একটি ম্যাচ রয়েছে যা নিঃসন্দেহে ভালোভাবে শেষ করতে চাবে টাইগাররা। এরপর থেকেই নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে
ব্যস্ত সময় পার করবে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে টাইগারদের। অনেকেই দুশ্চিন্তা করছিলেন টি-টোয়েন্টির বাজে ফর্ম শেষ পর্যন্ত ওয়ানডেতেও প্রভাব
ফেলে কিনা? জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হার সেই ভয়টিকে আরও বেশি জোরালো করছিলো। তবে টাইগারদের এই উন্নতি নিশ্চয়ই এখন ওয়ানডে ক্রিকেটেও টাইগারদের আত্মবিশ্বাস
দিবে। মোটামুটি তরুণ দল নিয়ে যদি টি-টোয়েন্টিতে ভালো করা যায় তাহলে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে ওয়ানডেতে কি নাইবা করতে পারে বাংলাদেশ। টিম ম্যানেজমেন্টের মূল মনোযোগ
এখন উন্নতির ধারাটা ধরে রাখার দিকেই হওয়া উচিত। দল ভালো ক্রিকেট খেলা শুরু করলে ক্রিকেট বোর্ড একপ্রকার গা ভাসিয়ে দেয়। সেটি যাতে এবার না হয়, ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বোর্ড
কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকে ক্রিকেটার তৈরি করা না হলে ভবিষ্যতে আবারও এরকম অবস্থায় পড়তেই পারে টাইগাররা। ভালো খেলার যে জোয়ার বাংলাদেশ
দলে এসেছে তা অব্যাহত থাকুক এটাই দিনশেষে সবার প্রত্যাশা।