






দরজায় কড়া নাড়ছে কাতার বিশ্বকাপ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে প্রথম বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা চলছে। আবার আছে বিতর্কও। কাতারে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের ব্যক্তি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের







নানাভাবে অত্যাচার ও হেনস্তার ঘটনা সামনে এসেছে বার বার। এছাড়া, বিশ্ব ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ চলাকালে দর্শকদের জন্য বেশ কিছু বিষয়ের ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বকাপ জ্বরে কাবু গোটা







দুনিয়া। আগামী রোববার (২০ নভেম্বর) কাতারে পর্দা উঠবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপ উপভোগ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় এক মিলিয়ন ফুটবলপ্রেমী কাতার







ভ্রমণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে দর্শকদের জন্য বেশ কড়া নিয়ম জারি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশটিতে যারা বিশ্বকাপ দেখতে যাচ্ছেন, তাদের







বেশ কিছু কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যেমন অ্যালকোহল আমদানি অবৈধ হওয়ায় শুল্কমুক্ত মদ, সেক্স টয়, শুয়োরের মাংস এবং পর্নোগ্রাফির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কাতার। এই







বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই নিয়ম না মানলে জেলে পর্যন্ত যেতে হতে পারে। লাগেজ স্ক্যান করার সময়ে যেকোনো ওষুধ পাওয়া গেলে সেটার জন্য অবশ্যই প্রেসক্রিপশন থাকতে হবে। কাতারের







পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারে ভ্রমণকারীরা যেন স্থানীয় ঐতিহ্য ও রীতিনীতিকে সম্মান করেন। জনসমক্ষে ঘনিষ্ঠ হওয়া, মাতলামি করা এবং অশালীন পোশাক







পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। কাতারে মদ্যপান নিয়ে নিয়ম কড়া। এই মুসলিম দেশটিতে মদ্যপান করাটা পাপ কাজ বলে মনে করা হয়। তবে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নিয়ম অনেকটা শিথিল করা







হয়েছে। দোহার বাসিন্দা অমুসলিমরা লাইসেন্স নিয়ে বাড়িতে মদ্যপান করতে পারবেন। আর বিশ্বকাপ চলাকালে মদ কিনতে বিশেষ কর দিতে হবে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সেই কর বসানো হবে।
শুধু হোটেলে মদ পরিবেশন করা হবে এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত বারগুলোতেই পরিবেশন করা হবে মদ। যেখানে সেখানে মদ্যপান করা নিষেধ। তবে কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে আসা ফুটবল অনুরাগীদের
গ্রেফতার এড়াতে সহায়তা করতে টুর্নামেন্ট চলাকালে পুলিশের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা থাকবে। নৈতিকতা আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে এবং ভক্তদের ঠান্ডা রাখতে বিশেষজ্ঞ যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা সেখানে থাকবেন।