বিশ্বকাপের আগে ওপেনিং জুটি নিয়ে হয়েছে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তবে বিশ্বকাপের শুরু থেকে বাংলাদেশ ইনিংস শুরু করছেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৌম্য সরকার। এখন পর্যন্ত দুজন খুব একটা ভালো করেননি। তবে







এরপরও এই ওপেনিং জুটি এখন বেশ থিতু মনে হচ্ছে টাইগারদের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। তবে এই দুজনকে আরও সময় দিতে চান তিনি। এক্ষেত্রে উদাহরণ টেনেছেন প্রোটিয়া ব্যাটার কুইন্টইন ডি কক ও রাইলি রুশোর।







বিশ্বকাপের আগে ১৮ ম্যাচে ১২টি ভিন্ন ওপেনিং জুটি খেলিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় কাপে চার ম্যাচে দেখা যায় চারটি ভিন্ন ওপেনিং জুটি। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে এসে







নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার জুটিতে আস্থা আনে দল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে দুজন আনেন ৪৩ রান। যা গত ৩০ ম্যাচের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সৌম্যের ঝড়ে আগ্রাসী শুরু হলেও তৃতীয়







ওভারে ২৬ রানে বিচ্ছিন্ন হন তারা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে ফের ওপেনিং জুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে চেহারায় আভা দেন জবাব দেন বাংলাদেশ কোচ শ্রীরাম, ‘আমার মনে হয় এটা ভালো। আমরা প্রথম ম্যাচে ৪৭ রান করেছি







(আসলে ৪৩), দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দুই ওভারে বিনা উইকেটে ২৬ রান ছিল। ওপেনিং জুটিকে দেখে বেশ থিতু মনে হচ্ছে।’ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুজনেই শুরুটা পান ভালো। প্রথম ওভারে দুই চার মারেন সৌম্য। পরে আর উড়তে







না পেরে ফেরেন ১৪ রান করে। শান্ত ২০ বলে ফেরেন ২৫ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০৬ রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে স্ট্রাইক পেয়ে মুখোমুখি প্রথম দুই বলেই ছক্কা মারেন সৌম্য। কিন্তু ৬ বলে ১৫ রানে থামতে হয় তাকে। শান্ত
ফেরেন ৯ বলে ৯ রান করে। সৌম্য-শান্ত কেউই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন নন। সব সংস্করণেই অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে দুজনের। তবু বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল পরামর্শকের মনে হচ্ছে দুই দুজনকেই দিতে হবে শেখার
সুযোগ, করে দিতে হবে স্পেস, ‘আমার মনে হয় তাদের আরও গেইম টাইম দিতে হবে, আরও অভিজ্ঞতা দিতে হবে। তারা যত বেশি একসঙ্গে খেলবে, যত বেশি ভিন্ন কন্ডিশনে ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলবে তারা এরমধ্য দিয়ে ভাল খেলতে
শিখবে।’ ‘যেরকমটা আমরা দেখেছি কুইন্টেন ডি কক ও রাইলি রুশোর মধ্যে। শুরুটা হলে তারা ইমপ্যাক্ট রাখতে পারবে যেটা নিয়ে আমরা কথা বলি। আমার মনে হয় সৌম্য ও শান্তর জন্য এটা শেখার প্রক্রিয়া। আমার মনে হয় তারা এটা পারবে।’