নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল নিজেদের বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগের সংবাদ সম্মেলনেও সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি ক্ষোভের ঝাঁজ। কয়েকদিন থেকেই সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে







চলছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসতেই হলো। আর সেখানেও অনেকটা ক্ষোভ দেখা গেল সাকিবের। বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে প্রশ্ন ছিল, একমাত্র লিটন দাসই ইনিংস উদ্বোধনে নিয়মিত পারফর্ম







করছেন। তবুও তাকেই কেন সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ওই জায়গা থেকে, এর ব্যাখ্যা কী? উত্তর না দিয়ে সাকিব করলেন পাল্টা প্রশ্ন, ‘আপনার কি মনে হয় লিটন ওপেন করলেই বা ওপেনার ঠিক হয়ে গেলে আমরা জিতবো?’ কেন এমন প্রশ্ন এর ব্যাখ্যা







দিতে গেলেন সাংবাদিক। সাকিব এবার বললেন, ‘আপনি যেভাবে বলছেন, ডিসিশন মেকারের জায়গায় আপনাকে রাখতে হবে। ’ বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব পাড় করে বাংলাদেশের গ্রুপে এসেছে নেদারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। শুরুতে মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা ও







ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দল আসতে পারে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল আসাতে কি একটু স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেছেন, এগুলো পুরোপুরি গণমাধ্যমের সৃষ্টি। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে নিশ্চিত যে পাঁচটা ম্যাচ আছে, এর
জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। এখানে আমরা যার সঙ্গে খেলি, প্রস্তুতি একই রকম থাকবে। সেটা নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা সবার সঙ্গে একই থাকবে। প্রস্তুতি বা চিন্তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। আর তারা কিন্তু
কোয়ালিফাই করে ডিজার্ভিং দল হিসেবেই এসেছে। ’ ‘এই পারসেপশনও হয়তো আপনারা তৈরি করেছেন- নেদারল্যান্ড আসাতে বাংলাদেশ স্বস্তি বোধ করছে। আমাদের যে চিন্তা, এভাবে কখনো প্রস্তুতি নেই না; মনে হয় না পৃথিবীর কোনো দল
এমন চিন্তা করে যে কে আসলে ভালো কে আসলে খারাপ। সবসময় চেষ্টা করে দলকে জেতানোর, যেটা ভালো সেটা করা। আমাদের দলের ভেতর এমন অনুভূতি নেই। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসলে যে প্রস্তুতি নিতাম, অন্য দলের সঙ্গেও একই।
যেটা আপনি বললেন স্বস্তির কি না, এটা অবশ্যই মিডিয়ার সৃষ্টি। ’ সাংবাদিকরা কি সত্যিই বাড়াবাড়ি করছে? সাকিব বলেছেন, ‘আপনারা ভালো বলতে পারবেন, মানুষকে বিচার করতে দেন, আমি না করি। আমি খুব বেশি বিচার করতে পছন্দ
করি না। আমার নজর হচ্ছে এখন দলকে নিয়ে। আমার দলের সবার নজর কালকের ম্যাচ নিয়ে, কীভাবে ভালো করতে পারি, জিততে পারি। ’