






১৯তম ওভারে দুর্দান্ত ব্রেকথ্রু আনেন সাকিব আল হাসান। শন উইলিয়ামস সিঙ্গেল নিতে গিয়ে তার সরাসরি থ্রোতে বোলার্স এন্ডে রান আউট হন। ৬৪ রানে থামেন তিনি। ১৩তম ওভারে তার ক্যাচ মিস করেছিলেন হাসান মাহমুদ। জীবন পেয়ে







ফিফটি তুলে নেন রায়ান বার্ল। ১৯ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। ১৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তাসকিনের ২ ওভারে দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। নিজের দ্বিতীয় বলে মাধেভেরকে ফেরান







বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার। ৩ বলে ৪ রান করেন মাধেভেরে। তাসকিন তার দ্বিতীয় ওভারে পান আরেকটি উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে সোহানের ক্যাচ বানান তাসকিন। ৮ রান করেন জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক। এই







বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছেন সিকান্দার রাজা। এখন পর্যন্ত ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনবার। বাংলাদেশের জন্য তিনি হতে পারতেন বড় যম। তবে সিকান্দার রাজাকে শূন্যতেই সাজঘরে পাঠিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এর আগে কাটার মাস্টারের বলে







সাকিবের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেছেন মিল্টন শুম্বা (৮)। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরতেই আরেকটি জুটি ভাঙলেন তাসকিন। সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রেজিস চাকাভাকে। তার বিদায়ে ভাঙলো ৩৪ রানের জুটি। সুপার টুয়েলভ পর্বে তাসকিনের







এটি অষ্টম উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে এনগারাভার চতুর্থ বলে প্রথম চারের দেখা পায় বাংলাদেশ। শান্ত তার পরের
বাউন্ডারি মারেন দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে। কিন্তু সৌম্য সরকার রানের খাতা খুলতে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় বলে ডাক মারেন তিনি। মুজারাবানির বলে রেগিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সৌম্যর বিদায়ের পর শান্তর সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন লিটন। দুই বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর আভাসও দিয়েছিলেন। তবে ষষ্ঠ ওভারে অহেতুক স্কুপে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন লিটন। ১২ বলে ৩ চারে ১৪ রান করেন তিনি। শান্তর সঙ্গে
লিটনের জুটি ছিল ২২ রানের। দুই উইকেট হারিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার শান্ত ও দলনেতা সাকিব। এ সময় দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ বলে ৫৪ রান। এরপর শেন উইলিয়ামসের করা বলে মুজারাবারি
হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। ২০ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সাকিব। দলীয় ৯৫ রানে সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন। ৪৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন শান্ত। চলতি আসরে
বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম পঞ্চাশ। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১১ ম্যাচ পর বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের ফিফটি করলেন। গত ৩১ জুলাই ২০২২, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৫৬ করছিল লিটন দাস। শেষ দিকে আফিফ
হোসেন ১৯ বলের ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তোলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারবানি এবং রিচার্ড এনগ্রাভা। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সিকান্দার রাজা এবং শন উইলিয়ামস। বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন,
মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। জিম্বাবুয়ে একাদশ: ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটকিপার), মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, তেন্দাই চাতারা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্র্যাড ইভান্স, ব্লেসিং মুজারাবানি।