টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ বছর পর জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে সাকিব আল হাসানের দল।ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব পেসারদের দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব







বলেছেন, ব্যাটিংয়ে অন্তত ১০ রান কম করতে পেরেছি আমরা। তবে আমাদের বোলাররা, বিশেষ করে পেসাররা দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচ জিতিয়েছে।দীর্ঘ বিরতির পর এই জয় যে বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা হলেও সত্ত্বেও স্বস্তির সুবাতাস ছড়াবে,







সেটাই যেন ধ্বনিত হলো সাকিবের কণ্ঠে। তিনি বলেন, এই জয় সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৭ সালে জয় পাওয়ার পর আমি সবগুলো আসরেই খেলেছি, কিন্তু জয় পাইনি। এ কারণেই হয়তো,ব্যাটিংয়ের সময় কিছুটা নার্ভাস ছিল খেলোয়াড়রা। তবে







ব্যাটাররা ভালো সূচনা এনে দিয়েছে। এরপর মাঝের ওভারগুলোয় আমরা কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলি। ভেবেছিলাম, হোবার্টের এই কন্ডিশনে ১৫০-১৬০ রান হবে চ্যালেঞ্জিং স্কোর। সেই হিসেবে, অন্তত ১০ রান কম করেতে পেরেছি আমরা।







তবে আমাদের বোলাররা, বিশেষ করে পেসাররা দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচ জিতিয়েছে।যেখানে জয়ই হয়ে দাঁড়িয়েছে সোনার হরিণ আর, বাংলাদেশ মূলত স্পিনারদের ওপরই নির্ভর করে; সেখানে বাংলাদেশকে জেতাচ্ছেন পেসাররা, এটা এখনও খুব







নিয়মিত দৃশ্য নয় এ দেশের প্রেক্ষিতে। তবে এখন যে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে তা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।সাকিব আল হাসান বলেন, আমরা এখন সব ফরম্যাটেই ফাস্ট বোলিংয়ের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। বেশ কয়েকজন প্রতিশ্রুতিশীল পেসার
খুঁজেও পেয়েছি। এছাড়া, বিগত কয়েক বছরে তাসকিন অনেক উন্নতি করেছে। সে এখন আমাদের প্রধান স্ট্রাইক বোলার।নেদারল্যান্ডস ম্যাচে বাংলাদেসঘের ফিল্ডিংয়েও ছিল উন্নতির ছোঁয়া। নাজমুল শান্তর ক্যাচ মিস বাদ দিলে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং
এবং ক্যাচিংয়ে বেশ ভালো করেছে বাংলাদেশ। ফিল্ডিং নিয়েও উচ্চাশা পাওয়া গেল সাকিবের কোথায়। তিনি বলেন,আমাদের দলটা তরুণ। তাই আসরের সেরা ফিল্ডিং সাইড হতে চাই আমরা। আর, আমরা বিশ্বাস করি, ভালো ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রতি ম্যাচেই ৫-১০ রান বাঁচানো সম্ভব। আর এমন ম্যাচে সেটাই গড়ে দিতে পারে ব্যবধান।