বুড়ো বয়সেও প্রিন্স ছিলেন তৃতীয় চার্লস। মায়ের মৃত্যুতে শেষ বয়সে কিং হয়েছেন তিনি। সিকান্দার রাজাও যেন অনেকটা তাই। নাম রাজা হলেও রাজার দায়িত্ব নিয়েছেন ৩৬ বছরে এসে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের মেইন ম্যান হয়েছেন। বাংলাদেশের







বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন সিকান্দার রাজা। ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। দলকে টি-২০ বিশ্বকাপে তুলতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। রাজা বাছাইপর্ব এবং মূল পর্বেও আছেন ছন্দে।







পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ রানে জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হয়েছেন। ওই জয়ের পরে তিনি জানিয়েছেন, খুব চাপে ছিলেন। রিকি পন্টিংয়ের এক ভিডিও বার্তা তাকে উজ্জ্বীবিত







করেছে। তিনি বলেন, ‘আগের রাতে তেমন ঘুমাতে পারিনি। মাথায় ম্যাচটি ঘুরছিল। ভাবছিলাম কীভাবে ব্যাটিং করব। কিছু নোট নিয়েছিলাম যা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমরা বড় মঞ্চে এসব ম্যাচ পাই না। ফ্লাডলাইটের আলোতেও তেমন খেলি







না। পার্থে এটাই আমার প্রথম ম্যাচ। শরীর ঘুমালেও মন এগুলো ভাবছিল।’বন্ধুর মাধ্যমে পন্টিংয়ের ভিডিও বার্তার কথা জানতে পারেন রাজা, ‘বন্ধু মেসেজে আইসিসির ভিডিও দেখি। যেখানে ছিলেন রিকি পন্টিং। তিনি আমাকে নিয়ে ভালো কিছু







কথা বলেছিলেন। আমার পরিবার ও বন্ধুরা বলেছিল, যা দেখে তাঁদের চোখে পানি এসেছে।’ভিডিওতে রাজাকে নিয়ে পন্টিং বলেন, তার বয়স ৩৬ বছর; কিন্তু সে খেলে ২৬ বছরের তরুণের মতো। সে পুরো মাঠে দৌড়ায়, খেলা উপভোগ করে। এসব খেলোয়াড় বড় মঞ্চে খেলতে চায়। রাজা জানে কখন কী করতে হবে। রাজা জানান, এটা শুনে তার মধ্যে তার মধ্যে শিহরণ কাজ করছিল।