“ফিজিক্যালি আমরা ফিট, মেন্টাল সমস্যাটা হয়তো অনেক বেশি। সেই জায়গাটাতে আমাদের অনেক বেশী কাজ করার আছে।”, কয়েকদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছিলেন সাকিব। এক দিকে সাকিব যখন এই কথা বলছে







অন্য দিকে অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে পাপন জানান, “প্লেয়ার যে আমাদের নেই তা তো না, প্লেয়ার আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের মাইনসেটআপ টা একটু চেঞ্জ করতে হবে” সাকিব-পাপন কিংবা বিসিবি ম্যানেজমেন্টের এই কথাগুলো







হয়তো অনেক পুরনো কিন্তু কথাগুলো শুনে বোঝা যায় যে কথাগুলোর মধ্যে কতটা আক্ষেপ রয়েছে। সাম্প্রতিক বাংলাদেশের অবস্থা এতটাই নাজেহাল যে, বড় দলগুলো তো বটেই তুলনামূলক ছোট দলগুলোর সাথে বড় রানের লক্ষ্য







তাড়া করতে যেন বাংলাদেশ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। কোন ভাবে যেন পারছে না তারা। এককথায় ডেথ ওভারেই যেন ডেথ বাংলাদেশ। বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের টি-২০ ফরম্যাটে ১২০ বলের খেলায় ২০০ রান অতিক্রম করে হরহামেশাই। বড় বড়







দলগুলো তার বাস্তব প্রমান। ক্রিকেট বিশ্বের বড় বড় দলগুলো যেখানে শেষ পাঁচ ওভারে ৬০ থেকে ৭০ রানের বেশি সংগ্রহ করে সেখানে বাংলাদেশ শেষ কবে শেষ পাঁচ ওভারে ৫০ রান করেছে তা খুজে বের করতে গেলে পাটি গণিতের মত জটিল







পরিসংখ্যান ঘাটতে হয়। বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে ব্যাটিংয়ে লোয়ার অর্ডার এ বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলিং দাপটে হয়তো বাংলাদেশ বেঁচে ফিরলেও আগামী ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত পাকিস্তানের







মতো বড়-বড় দল। সেখানে যদি বর্তমান সময়ের মতো বাংলাদেশে এরকম পারফরম্যান্স করে। তবে জয় পাওয়াটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশের জন্য। আর এই কথাগুলো অনেক আগেই উপলব্ধি করে ছিলেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন ১৩০ কিংবা ১৪০ রান করে হয়তো কোন একটা ম্যাচ আমরা জিতে যেতে







পারবো। কিন্তু সবসময় যে আমরা এরকম করে জিততে পারবো তা কিন্তু নয়। আমাদের বড় দলের সাথে জিততে গেলে কমপক্ষে ১৮০ থেকে ১৯০ রানের বেশি করতে হবে। এই কথাগুলো হয়তো বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন সহ ম্যানেজমেন্টের সকলেই বোঝে কিন্তু বোঝেনা কেবল মাঠে যারা পারফরম্যান্স করে তারাই। কিন্তু বুঝতে পারলেও হয়তো
প্লেয়াররা বুঝতে পারেননা ডেথ ওভার ভয়ডরহীন ক্রিকেট তাদের খেলতে হবে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের এই সমস্যার সমাধান কোথায় তা আমরা কেউ জানিনা। শারীরিকভাবে ক্রিকেটারদের শক্তি-সামর্থের অভাব নাকি মানসিকভাবে দুর্বল, এটাই হচ্ছে মূল প্রশ্ন। ডেথ ওভারে বাংলাদেশের দুর্বলতা যাই হোক, সেটা কাটিয়ে ওঠার কোন চেষ্টা করেন কি বাংলাদেশের
ব্যাটারা? জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হয়তো ডেথ ওভারে ম্যাচ বাঁচিয়েছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ৫ ওভারের ব্যাটিং ধরন কি মান বাঁচল বাংলাদেশের?