স্বল্প পুঁজি নিয়েও ডাচ দুর্গ জয়ের মূল কারিগর টাইগার পেসাররা। আলাদা করে বললে তাসকিন আর হাসান মাহমুদ। সোমবার (২৪ অক্টোবর) প্রথম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন তাসকিন। পরে হাসান







মাহমুদও জ্বলে ওঠেন। দুজনই করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং, ডট দিয়েছেন সমান ১৬টি করে। ম্যাচ শেষে টাইগার পেসারদের স্তুতিতে ভাসিয়েছেন অধিনায়ক সাকিবও। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার ২৭১ মিটার উঁচু, সঙ্গে হোবার্টের







হাড়কাঁপানো শীত। তবুও তাসকিনের আগুন গোলায় তাসমানিয়ায় উত্তাপ। এ যেন স্বপ্নের শুরু, যা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি তাসকিন। তাইতো ১৪৫ রানের টার্গেটটাও ডাচদের কাছে মনে হয়েছে পাহাড়সম। সকালের শুভ্রতাই বলে দেয় দিনটা







কেমন যাবে। প্রথম ওভারে জোড়া আঘাত, তাতেই কুপোকাত নেদারল্যান্ডস। কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে সুইং আর বাউন্স। সব মিলিয়ে তাসকিন ছিলেন দুর্দান্ত। নিয়মিত বোলিং করেছেন ১৪০ গতির আশেপাশে। টি-টোয়েন্টিতে একটা ডটবল যেন







সোনার হরিণ। সেখানে তাসকিনের ২৪ বলের ১৬ টাই ডট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন এদিন তাসকিন। সম্ভাবনা ছিল ৫ উইকেট তোলারও। তা না হলেও যা করেছেন এই ডানহানি, তাসমান সাগর পাড়ে এর আগে যে পরিসংখ্যান নেই আর







কোনো টাইগার পেসারের। প্রথম দুই বলেই জোড়া উইকেট তুলে নেন তাসকিন। শেষ ওভারে নেন আরও দুই উইকেট। যদিও ছিল না কোনো মেডেন ওভার। ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান। ইকোনমি ছিল ৬ দশমিক ২৫। আর ডট বল ছিল ১৬টি।
তাসকিন যদি হন ম্যাচের ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার তবে আরেকজনকেও রাখতে হবে তালিকায়। জাতীয় দলের তরুণ তুর্কি হাসান মাহমুদ। মূলত যখনই চোখ রাঙিয়েছে নেদারল্যাসের ব্যাটাররা, তখনই রানরেটের টুঁটি চেপে ধরেছেন হাসান। ৪
ওভারের মোটে ১৫ রানই যথেষ্ট তার বিরুদ্ধে কতটা অস্বস্তিতে ছিল প্রতিপক্ষ। ছিল উইকেট মেডেনও। হাসানও করেছেন নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। হাসান এবং তাসকিন পেস অ্যাটাকে মুগ্ধ হবেন যেন কেউই, স্তুতি ঝড়লো টাইগার দলপতির
কণ্ঠেও। আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) টাইগারদের দ্বিতীয় ম্যাচ, প্রতিপক্ষ প্রোটিয়া। সিডনির বাউন্সি উইকেটেও নিশ্চিত রূপেই তাসকিন এবং হাসানেই ভরসা খুঁজবেন সমর্থরা।