





এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম হার ভারতের। পার্থে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৩ রান করে ভারত। অর্ধশতরান করেন সূর্যকুমার যাদব। সেই রান তাড়া করে জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম হারের স্বাদ পেলেন রোহিত শর্মা,






বিরাট কোহলিরা। প্রথমে খারাপ ব্যাটিং ও তার পরে খারাপ ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিল ভারত। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হারলেন রোহিত শর্মারা। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের গতি ও বাউন্স ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলল।






তার মধ্যেই দুর্দান্ত অর্ধশতরান করেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় বোলাররাও দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন। কিন্তু সহজ ক্যাচ ছাড়লেন বিরাট কোহলি। সহজ রান আউট মিস্ করলেন রোহিত। তার খেসারত দিতে হল। শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হল






ভারতকে। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। উইকেটের গতি ও উচ্চতা কাজে লাগিয়ে লেংথ বল করতে থাকেন কাগিসো রাবাডারা। ফলে হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না রোহিতরা। পঞ্চম






ওভারে বল করতে এসে ভারতকে পিছনে ঠেলে দেন লুনগি এনগিডি। একই ওভারে প্রথমে রোহিত ও পরে রাহুলকে আউট করেন তিনি। তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলি কয়েকটি ভাল শট খেললেও এনগিডির বাউন্সারে পুল মারতে গিয়ে ফাইন লেগে রাবাডার
হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এই ম্যাচে অক্ষর পটেলের বদলে দীপক হুডাকে খেলিয়েছিল ভারত। কিন্তু তিনিও কিছু করতে পারলেন না । শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরলেন। রান পাননি হার্দিক পাণ্ড্যও। মাত্র ৪৯ রানে ভারতের ৫ উইকেট পড়ে যায়।
দেখে মনে হচ্ছিল, ১০০ রানের গণ্ডি পেরোতেও সমস্যায় পড়বে ভারত। কিন্তু দলকে একা টানলেন সূর্যকুমার। তাঁকে সঙ্গ দিলেন দীনেশ কার্তিক। তিনি বেশি রান না করলেও টিকে থাকলেন। দু’জনের মধ্যে ৫২ রানের জুটি হয়। অর্ধশতরান করেন সূর্য। নিজের
স্বাভাবিক ছন্দে খেললেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি অন্য পিচে খেলছিলেন। মাত্র ৩০ বলে নিজের অর্ধশতরান করলেন তিনি। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, ১৫০ রান করে ফেলবে ভারত। কিন্তু কার্তিক ও সূর্য আউট হয়ে যাওয়ায় শেয দিকে রান
কম হল। সূর্য করলেন ৬৮ রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান করল ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকাও। নিজের প্রথম বলেই কুইন্টন ডি’কককে আউট করেন আরশদীপ সিংহ। সেই ওভারেই শূন্য
রানে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে শতরান করা রিলি রুসো। অধিনায়ক বাভুমাও রান পাননি। তাঁকে আউট করেন শামি। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খেলার হাল ধরেন
আইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। শুরুতে কিছুটা ধীরে খেললেও ১০ ওভারের পরে হাত খোলা শুরু করেন তাঁরা। হার্দিকের এক ওভারে ১৬ রান ওঠে। সেই এক ওভারেই খেলা ঘুরতে থাকে। জরুরি রানরেট কমতে থাকে। অশ্বিনের বলে বড় শট মারতে
গিয়ে ক্যাচ তোলেন মার্করাম। কিন্তু তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলেন কোহলি। পরে মার্করামের সহজ রান আউট মিস্ করেন রোহিত। তার খেসারত দিতে হল ভারতকে। চাপ বাড়ছিল রোহিতদের উপর। পেসাররা ভাল বল করায় স্পিনার অশ্বিনকে নিশানা করেন
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তাঁর এক ওভারে দু’টি ছক্কা মারেন মিলার ও মার্করাম। খেলা ধীরে ধীরে ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে। সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় ভারতকে। অর্ধশতরান করেন মার্করাম। যদিও তার পরেই হার্দিকের বলে তাঁকে
সাজঘরে ফিরতে হয়। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। মিলার দলকে জয়ে নিয়ে যান। অর্ধশতরান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩ ম্যাচে আফ্রিকার পয়েন্ট ৫, আর ভারত-বাংলাএশের পয়েন্ট সমানে সমান।