কঠোর বাস্তবটা শেষমেশ স্বীকার করে নিলেন শাকিব আল হাসান। ঘরের মাঠে স্লো টার্নারে তাবড় তাবড় প্রতিপক্ষকে কাত করা যায়। তবে সেই সাফল্যটা যে ক্ষণস্থায়ী এবং দেশের বাইরে সফল হতে গেলে যে স্পিন নির্ভরতা কাটাতে হবে







বাংলাদেশকে, সেটা প্রকারান্তরে মেনে নিলেন তারকা অল-রাউন্ডার। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক জয়ের পরে বাংলাদেশ অধিনায়কের স্বীকারোক্তি, ‘আমরা এখন সব ফর্ম্যাটেই পেস বোলিংয়ের গুরুত্ব বুঝতে







পারছি।’ আসলে বাংলাদেশ কখনওই পেস বোলিংকে গুরুত্ব দেয়নি। বরং নিজেদের দেশে ঘূর্ণি পিচ বানিয়ে গড়পড়তা স্পিনারদের দিয়েই ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা করত তারা। সেকারণেই বিদেশে গিয়ে বরাবর মুখ থুবড়ে পড়তে হয় তাদের।







এবার টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে প্রথম জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পিছনে মুখ্য ভুমিকা নেন বাংলাদেশের পেসাররাই। তাস্কিন আহমেদ ৪টি, হাসান মাহমুদ ২টি এবং সৌম্য সরকার ১টি উইকেট দখল করেন।







ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে শাকিব বলেন, ‘এই জয়টা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেছি। কখনই আমরা জিততে পারিনি। আমরা এই ম্যাচে ১০ রান মতো কম করেছিলাম। তবে আমাদের







পেসাররা যেভাবে বল করল, এককথায় অসাধারণ।’ পরক্ষণেই শাকিব বলেন, ‘আমরা এখন সব ফর্ম্যাটেই পেস বোলিংয়ের গুরুত্ব বুঝি। আমরা প্রতিভা খুঁজে পেয়েছি। হাসান নতুন। গত কয়েক বছরে তাস্কিন নিজেকে পরিণত করে তুলেছে।’ শেষে
দলের ফিল্ডিং প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘আমরা নিজেদের সেরা ফিল্ডিং দল হিসেবে তুলে ধরতে চাই। আমাদের দলটা তরুণ। অন্তত ৫-১০ রান বাঁচাতে পারি বলে আমাদের বিশ্বাস, যেটা ম্যাচে তফাৎ গড়ে দিতে পারে।’