রাজস্থানের উদয়পুরের একজন দুধওয়ালার মেয়ে সোনাল শর্মা তার কঠোর পরিশ্রম এবং অজ্ঞতার কারণে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সোনাল 2013 সালে রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ







হয়েছে এবং এখন তিনি একজন বিচারক ‘হতে চলেছেন। উদয়পুর জে’লার বাসিন্দা সোনার শর্মা বিভিন্ন সমস্যার সাথে লড়াই করে পড়াশোনা করেছেন। তিনি গোশালায় বসে পড়াশোনা করেছেন এবং সমস্ত







অসুবিধা থাকার সত্বেও বিএ, এলএলবি এবং এলএলএম পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়েছেন যা অত্যন্ত গর্বের বি’ষয়।আর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এক বছরের প্র’শিক্ষণের পর সোনাল এখন রাজস্থানের







আ’দালতে রয়েছেন এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট পদে কাকে নিয়োগ করা হবে। এই পরীক্ষার ফলাফল গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এসেছিল তবে সোনাল চূড়ান্ত তালিকায় উপস্থিত হয়নি।







তাকে ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়েছিল কারণ তার মাক্স সাধারণ cut-off তালিকা থেকে কিছুটা কম ছিল। কিন্তু তার ভাগ্য তার সাথে ছিল। তারপরে যারা চূড়ান্ত তালিকায় নির্বাচিত হয়েছিল।







কিন্তু চাকরিতে যোগ দেননি যার কারণে সাতটি শূন্যপদ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সোনালীকে মনোনীত করা হয়েছে রাজস্থান হাইকোর্টে। এরপরে আ’দালত ওয়েটিং লিস্টের সদস্যদের এই তালিকায়
অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। সোনালীর বাড়ির ভালো অবস্থা ছিল না।তিনি টিউশন ফি দিতে পারতো না এবং পড়াশোনার জন্য ব্যয় বহুল উপা







য়ও বহন করতে পারতেন না।
জানা যায় তিনি এই সমস্ত উপায় ছাড়াই তার পড়াশোনা চালিয়ে গেছিলেন। তিনি সাইকেল চালিয়ে কলেজে যেতেন এবং বাড়িতে পড়াশোনার সময় তিনি গোয়ালঘরে একটি কোণে বসে একটি খালি তেলের ক্যান







দিয়ে তার টেবিল বানিয়ে করতেন যাতে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি পশুদেরও দেখাশোনা করতে পারেন। তার বাবাকে ঋণ নিতে হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি যখন কলেজে যেত তখন তার জুতোতে গোবর লেগে থাকত যার কারণে কলেজে যাওয়ার সময় তিনি ল’জ্জা পেতেন।







তিনি আরো জানিয়েছেন যে তিনি তার সহপাঠীদের জানাতেও ল’জ্জা বোধ করতো যে তিনি একজন দুধওয়ালার মেয়ে। কিন্তু এখন তার বাবা-মা তার কাজের জন্য গর্বিত। অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সোনাল তার কঠোর পরিশ্রমের সাফল্য অর্জন করেছিলেন যা সবাইকে অনুপ্রাণিত করছে।






