চিকিৎসকের পছন্দের ক্লিনিকে টেষ্ট না করায় রোগীর রিপোর্টসহ ব্যবস্থাপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক গাইনি ডাক্তারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ডা. সানজিদা পারভীন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট। এছাড়াও ওই গাইনি চিকিৎসকের খারাপ আচরণে সাধারণ রোগীরাও অতিষ্ট।







রোববার দুপুরে কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পলাশ উপজেলার কাজীরচর গ্রামে ফারুকের স্ত্রী নাসরিন আক্তার।







তিনি জানান, বাড়ি থেকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দূরে হওয়ায় নিকটবর্তী কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই আসেন এবং চিকিৎসা নেন। তিনদিন আগে তিনি কিছু সমস্যা নিয়ে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপতালে আসেন। সেখানে তিনি স্ত্রী রোগের সমস্যা নিয়ে গাইনী কনসালটেন্ট জুনিয়রকে দেখানোর জন্য বহির্বিভাগ থেকে টিকিট নেন। তারপর সিরিয়াল অনুয়ায়ী ডা. সানজিদা পারভীনকে দেখান। এ সময় তিনি বেশ কিছু টেষ্ট দেন। সেই সঙ্গে তিনি সুনির্দিষ্ট করে স্থানীয় কালীগঞ্জ সেন্টাল হাসপাতালে টেষ্ট করার কথা বলেন। তিনি চলে গিয়ে ওনদিনই স্থানীয় শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করান।







একদিন পর ওই টেষ্ট রিপোর্ট সরকারি হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার সানজিদা পারভীনের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তারের পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করায় নাসরিন আক্তারের রিপোর্টসহ ব্যবস্থাপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলেন। এ সময় ডাক্তার অশালিন বাক্য প্রয়োগ করেন বলেও জানান রোগী নাসরিন। পরে অন্য আরেকটি ক্লিনিক থেকে টেস্ট করাতে বলে রোগীকে ছেড়ে দেন।







রোগী নাসরিন আক্তার আরো বলেন, লেখাপড়া জানি না আমি। গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই। আবার এত টাকা কই পাই? তাছাড়া স্বামী এই কথা হুনলেও তো রাগারাগি করবো বলেই হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন তিনি।







কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, দিনের পর দিন ওই গাইনি ডাক্তারের খারাপ আচরণে স্থানীয়রা অতিষ্ট। একবারের সমস্যা একাধিকবার বললেই তিনি রাগারাগি শুরু করেন। কখনো কখনো অশালিন বাক্য প্রয়োগও করেন। তবে এ ব্যাপারে অসংখ্যবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বরং তিনি দিনের পর দিন বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।






