মানব,জাতির জন্য মহান আ,ল্লাহর প্রে,রিত সর্ব,শেষ নবী হজ,রত মুহা,ম্মদ (সা.) সর্ব,গুণে গুণা,ন্বিত অতি মহৎ একজন মানুষ ছিলেন। মানু,ষের দৃষ্টি,তেও তিনি অত্য,ন্ত মর্যা,দাশীল ছি,লেন। তাঁর চেহারা মো,বার,ক পূ,র্ণিমার চাঁদের মতো ঝ,লমল করত। মাঝা,রি গড়,নবিশি,ষ্ট ব্যক্তি থেকে কিছু,টা লম্বা, আবা,র অতি লম্বা থেকে খাটো ছিলেন তিনি।







মাথা মুবা,রক সুসংগত,ভাবে বড় ছিল। কেশ মুবা,রক সামান্য কু,ঞ্চিত ছিল, মা,থার চুলে অনি,চ্ছা,কৃত,ভাবে আপ,নাআ,পনি সিঁথি হয়ে গেলে সে,ভাবেই রাখ,তেন, অন্য,থায় ইচ্ছা,কৃতভা,বে সিঁঁথি তৈরি করার চেষ্টা কর,তেন না। চিরু,নি ইত্যা,দি না থাকলে এরূপ ক,রতেন। আর চিরু,নি থাক,লে ইচ্ছা,কৃত সিঁথি তৈরি কর,তেন। কেশ মুবার,ক লম্বা হলে কানের লতি অতি,ক্রম করে যেত।







শরীর মুবা,রকের রং ছিল অ,ত্যন্ত উজ্জ্ব,ল আর ললা,ট ছিল প্রশস্ত। ভ্রুদ্বয় বক্র, সরু ও ঘন ছিল। উভয় ভ্রু পৃথক পৃথক ছিল, মাঝ,খানে সংযুক্ত ছিল না। ভ্রুদ্ব,য়ের মাঝ,খানে একটি রগ ছিল, যা রা,গের সময় ফুলে উঠত। তাঁর নাসি,কা উঁচু ছিল, যার ওপর একপ্র,কার নূর ও চমক ছিল। যে প্রথম দেখত সে তাঁকে উঁচু নাকও,য়ালা ধারণা করত। কিন্তু গ,ভীরভা,বে দৃষ্টি করলে বুঝতে পারত যে সৌ,ন্দর্য ও চমকে,র দরুন উঁচু মনে হচ্ছে, আস,লে উঁচু নয়।







দাড়ি মুবা,রক ভর,পুর ও ঘন ছিল। চো,খের মণি ছিল অত্যন্ত কালো। তাঁর গণ্ডদেশ সম,তল ও হালকা ছিল এবং গোশত ঝুল,ন্ত ছিল না। তাঁর মুখ সুসংগতপূর্ণ প্রশস্ত ছিল। তাঁর দাঁত মুবারক চিকন ও মসৃণ ছিল এবং সাম,নের ,দাঁতগু,লোর মধ্যে কিছু কিছু ফাঁক ছিল। তাঁর গ্রীবা মু,বারক সুন্দর ও সরু ছিল। তাঁর রং ছিল রুপার মতো সুন্দর ও স্বচ্ছ। তাঁর সব অঙ্গপ্র,ত্যঙ্গ সাম,ঞ্জ,স্যপূর্ণ ও মাংসল ছিল।







আর শরীর ছিল সুঠাম। তাঁর পেট ও বুক ছিল সম,তল এবং বুক ছিল প্রশস্ত। উভ,য় কাঁধের মা,ঝখানে বেশ ব্য,বধান ছিল। গ্র,ন্থির হাড়গু,লো শক্ত ও বড় ছিল (যা শক্তি-সাম,র্থ্যের একটি প্রমাণ)। শরী,রের যে অংশে কাপড় থাকত না, তা উজ্জ্বল দেখাত। বুক থেকে নাভি পর্য,ন্ত চুলে,র সরু রেখা ছিল। তা ছাড়া বুকে,র উভয় অংশ ও পেট কেশমুক্ত ছিল। তবে উ,ভয় বাহু, কাঁধ ও বুকের উপরি,ভাগে চুল ছিল।







তাঁর হাতে,র কবজি দীর্ঘ এবং হাতের তালু প্রশস্ত ছিল। শরী,রের হাড়,গু,লো সাম,ঞ্জস্য,পূর্ণ ও সোজা ছিল। হাতের তালু ও উভয় পা কোমল ও মাংসল ছিল। হাত-পায়ের আঙু,লগু,লো প,রিমিত লম্বা ছিল। ,পায়ের তালু কিছুটা গভীর এবং কদম মুবা,রক এরূপ সমতল ছিল যে পরি,চ্ছন্নতা ও মসৃ,ণতার দরুন পানি আ,টকে থাকত না, সঙ্গে সঙ্গে গড়িয়ে পড়ত।







তিনি যখন পথ চল,তেন, তখন শক্তি সহকারে পা তুলতে,ন এবং সামনে,র দিকে ঝুঁকে চল,তেন, পা মা,টির ওপর সজো,রে না পড়ে আস্তে পড়ত। তাঁর চলার গতি ছিল দ্রুত এবং পদক্ষে,প অ,পেক্ষা,কৃত দীর্ঘ হতো, ছোট ছোট কদমে চলতেন না। চলার সম,য় মনে হতো যেন তিনি উচ্চভূমি থেকে নিম্ন,ভূ,মিতে অব,তরণ করছে,ন। যখন কোনো দিকে মুখ ঘোরা,তেন, তখন সম্পূ,র্ণ শ,রীর,সহ ঘোরাতেন। তাঁর দৃষ্টি নত থাকত এবং আ,কাশ অপেক্ষা মা,টির দিকে অধিক নি,বদ্ধ থাকত।







সাধা,রণত চো,খের এক পার্শ্ব দিয়ে তাকা,তেন। অর্থাৎ লজ্জা ও শর,মের দরুন কারো প্রতি পূর্ণ দৃষ্টি খুলে তাকাতে পার,তেন না। তিনি দুনি,য়া বা দুনি,য়ার কোনো বি,ষয়ে রাগা,ন্বিত হতেন না। কারণ তাঁর দৃষ্টি,তে দুনিয়া ও দুনি,য়াবি বিষয়ে,র কোনো গুরু,ত্ব ছিল না। তবে দ্বী,নি বিষয় বা হকের ওপর কেউ হস্তক্ষে,প করলে ক্রো,ধে তাঁর চেহারা এরূপ পরিব,র্তন হয়ে যেত যে তাঁকে কেউ চিনতে পারত না।







যখ,ন কোনো কা,রণে কোনো দিকে ই,শারা কর,তেন, তখন সম্পূর্ণ হাত দ্বারা ইশারা কর,তেন। বিনয়ের খেলাপ বলে আঙুল দ্বারা ই,শারা ক,রতেন না। তিনি আ,শ্চর্য,বোধকা,লে হাত মুবা,রক উ,ল্টে দিতেন। কথা ব,লার সময় কখনো (কথার সঙ্গে) হাত নাড়,তেন, কখনো ডান হাতের তালু দ্বা,রা বাঁ বৃদ্ধা,ঙু,লির পেটে আঘা,ত কর,তেন।







কারো প্রতি অস,ন্তুষ্ট হলে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন ও অমনো,যোগি,তা প্রকাশ ক,রতেন অথবা তাকে মাফ করে দিতেন। যখন তিনি খুশি হতেন, তখন লজ্জা,য় চোখ নিচু করে ফেল,তেন। তাঁর বেশির ভাগ হাসি মুচকি হাসি হতো। আর সেই সময় তাঁর দাঁত মুবা,রক শি,লার মতো শুভ্র ও উ,জ্জ্বল দেখাত। (সূত্র : বিদায়া নি,হায়া, কানজুল উম্মা,ল; মাও,লানা সাদ : হা,য়াতুস সাহাবাহ, প্রথম খণ্ড, দারুল কিতাব, ঢাকা ও শামায়েলে তির,মিজি, আল কাউসার প্রকা,শনী, ঢাকা, ২০০৭)






