






ব্রাহ্ম’ণবাড়ি’য়ায় তানিয়া খন্দকার (৩৩) নামে এক সা’বেক যুব মহি’লা লী’গের নে’ত্রীকে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। শুক্র’বার সকালে তা’কে গ্রে’প্তা’রের পর দুপুরে আদা’লতে পাঠা’নো হয়। তানি’য়া সদর উপজে’লার বিল কে’ন্দুয়াই’য়ের জহি’রুল হকের মেয়ে ও সদর উপ”জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক কমি’টির সাবে’ক সদস্য। তানি’য়ার বি’রু’দ্ধে বা’দি হয়ে মা’ম’লাটি দা’য়ের ক’ছেন তার মা রি’না বেগম।
তিনি তার মা’মলা’য় তা’নি’য়াকে চো’র, মাদ’কাস’ক্ত, বে’হাই’য়া ও উচ্চ বি’লা’সী হয়ে বেপ’রো’য়া চলা’ফেরা’র কথা উল্লে’খ্য করেছেন। মা’ম’লার এ’জহার ও স্থানী’য় সূত্রে ‘জানা যায়, বিল কেন্দু’য়াইয়ে’র জহি’রুল হকের কন্যা তানিয়া খন্দ’কার। ২০০৪ সালে তানি’য়াকে জে’লার বিজ’য়নগ’রে বি’য়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর তানি’য়া ৩ মে’য়ে ও এক ছেলে সন্তা’নের মা হন।







এর’ই মা’ঝে তা’নিয়া বে’পরো’য়া হয়ে উঠে। সী’মা’ন্তবর্তী উপ’জেলা হও’য়ায় মা’দকে’র স’ঙ্গে নি’জেকে জ’ড়িয়ে ফে’লে। ফলে স্বামী, শ্বশু’র ও শ্বা’শুড়ীর সঙ্গে খা’রাপ আ’চ’রণ শুরু হলে দূর’ত্ব সৃষ্টি হয়। এক পর্যা’য়ে স্বা’মীর স’ঙ্গে বি’চ্ছেদ হলে ৪স’ন্তান নিয়ে বা’বার বা’ড়িতে আশ্র’য় নেয় তানিয়া। বাবার বাড়ি’তে আশ্র’য় নিয়ে আরও বে’পরো’য়া হয়ে উ’ঠে সে। মা’য়ের কাছে ৪সন্তান রেখে খা’রাপ প্র’কৃতির লো’কজ’নের স’ঙ্গে মি’শে বে’হাই’য়াপনা ও উচ্চ বিলাসী চলা’ফেরা শুরু করে তা’নিয়া। তা’নিয়ার মা রিনা বেগম তাকে বা’ধা’ দি’লেও কোন কাজ হয়নি।







রাতের পর রা’ত বা’ড়িতে না ফেরে বা’ইরে কা’টিয়ে’ছে। বাবা ও ভাই’য়ে’রা প্রবা’সে থাকার সুবা’দে তার পুরু’ষ স’ঙ্গী’দের নিয়ে খা’লি বাড়ি’র দুত’লার ক’য়ে’কটি কক্ষ দখ’লে নিয়ে সে’খানে মা’দক সেব’নের আ’স্তা’না গড়ে তু’লেন। সেই কক্ষ গু’লোতে বস’তো ইয়া’বাসহ বিভিন্ন প্রকার মা’দক সে’বনে’র আসর। সেই আস’রে বাই’রের লোকজ’নের আসা যাওয়া’য় ও তানিয়ার বে’হায়াপ’নায় অতি’ষ্ঠ হয়ে তার মা এবং ভাইয়ে’র স্ত্রী বা’ধা দিলেও আরও বেপ’রো’য়া হয়ে উঠে সে।







এরই ধা’রাবাহি’কতায় ২৩ সেপ্টেম্বর বিকে’লে তানিয়া’র নোং’রামি ও তার সঙ্গী’দের যন্ত্র’ণায় প্রবা’সে থাকা ভাই আশা’র স্ত্রী হাফ’সা বেগম প্রতি’বাদ করে। প্রতিবাদ করায় ভা’ইয়ের স্ত্রী হাফ’সাকে মা’রধ’র করে জো’রপূ’র্বক ঘরে ঢু’কে স্বা’র্ণাল’ঙ্কার নিয়ে যায়। এসময় তানি’য়ার মা রিনা বেগম বাধা দি’লে নি’জের মাকেও কাঠে’র রোল দিয়ে এ’লোপা’তাড়ি মা’র’ধো’র করে ও চু’লের মু’ঠি ধ’রে মাটি’তে ফেলে দেয়। তাদের আ’র্তচিৎকারে আশ’পা’শের লোকজ’ন উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকি’ৎসার জন্য নিয়ে যায়।







হা’সপা’তাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর বা’ড়িতে তাদের কাউ’কে ঢু’কতে দেয়নি তানিয়া। এর কিছু’দিন পর তানি’য়া বাড়ি’র ২৪ টি কাঠ’গাছ ৮০হা’জার টাকা’য় বি’ক্রয় করে ও ঘরে থাকা প্রা’য় দুই’লক্ষ টা’কা এবং জ’রুরী কা’গজ পত্র স’রিয়ে ফে’লে। এসব ঘট’নায় তানিয়ার মা রিনা বেগম আ’দা’লতে মাম’লা করলে সদর মডে’ল থানা মা’মলা’টি নথি’ভুক্ত করতে নির্দে’শ দেন। এই মা’ম’লায় তানি’য়াকে গ্রে’প্তা’র করে আ’দাল’তে পা’ঠানো হয়।
এই বিষয়ে ব্রা’হ্মণ’বাড়িয়া জেলা যুব মহি’লা লীগের সাধার’ণ সম্পা’দক আলম তা’রা দুলী বলেন, তানিয়া খন্দ’কার দ’র কোন গুরু’ত্বপূ’র্ণ প’দে ছিলো না। সে সদ’র উপ’জে’লার আহ’বায়ক কমিটি’র সদস্য ছি’লো। কিন্তু পূ’র্ণাঙ্গ কমিটি’তে তাকে রাখা হয়নি। তিনি আরও বলেন, সে মা’দকা’স’ক্ত হয়ে গেছে। দলী’য় কোন প’দে না থা’কলেও তানিয়া দলীয় ক’র্মকাণ্ডে আ’সা যাওয়া ক’রায় তাকে আ’মরা নি’ষিদ্ধ করেছি।







মা’মলা’র তদ’ন্তকা’রী ক’র্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, তানিয়ার মা বা’দি হয়ে মা’মলা দায়ের করেছে। মা’মলা’র পরি’প্রেক্ষি’তে
তানি’য়াকে বিল কেন্দুয়া’ইয়ায় থেকে গ্রে’প্তা’রের পর আদা’লতে পাঠা’লে আ’দালত তাকে জেলা হাজতে প্রের’ণ করে।