






শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেক মানুষ। কিন্তু বছরব্যাপী করোনার থাবায় অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এবারের ঈদ হয়তো ততটা রঙিন হয়ে উঠবে না।
চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস বস্তির বাসিন্দা শিশু সাজিদ সুমন। হতদরিদ্র এ শিশুর পরিবারের ‘নুন আনতে পানতা পুরানোর’ কারণে ঈদের নতুন জামা কেনা তাদের কাছে অলীক কল্পনা। সেই সুমনেরই এবারের ঈদ হবে নতুন জামা কাপড় দিয়ে। নিজের পছন্দনীয় কাপড় কিনেছে মাত্র দুই টাকা দিয়ে।







দুই টাকা দিয়ে নতুন জামা কেনা সাজিদ সুমন বলেন, আমার জমানো দুই টাকা দিয়ে নতুন জামা কিনেছি। ঈদের দিন ওই জামা পড়েই নামাজ পড়তে যাব। নতুন জামা দিয়ে ঈদ করতে পারবো, তাই খুবই খুশি লাগছে।
সামাজিক সংগঠন ‘যাত্রী ছাউনি’র অনন্য উদ্যোগের কারণে এবার শত শত পথ এবং হতদরিদ্র শিশুরা নতুন জামা কাপড় দিয়ে ঈদ করার সুযোগ পাচ্ছে। সোমবার (১০ মে) নগরীর টাইগারপাস বস্তিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিএমপি দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার বিজয় বসাক।







জানা যায়, সামাজিক সংগঠন যাত্রী ছাউনির উদ্যোগে নগরীর বস্তি ও পথ শিশুদের জন্য ঈদের কেনাকাটার জন্য ‘দুই টাকার দোকান’ নামে একটি উদ্যোগ নেয়া হয়। এ দোকান থেকেই শিশুরা দুই টাকা দিয়ে নিজের পছন্দনীয় জামা কাপড় কিনতে পারবে। সোমবার বিকেলে টাইগারপাস বস্তি এলাকায় দুই টাকার দোকানের উদ্বোধন করা হয়। সোমবার উদ্বোধনী দিতে নিজের জমানো ২ টাকার বিনিময়ে জামা কাপড় কিনে নেন অর্ধশত সুবিধা বঞ্চিত শিশু।







উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, সামাজিক সংগঠন যাত্রী ছাউনির উদ্যোগ অসাধারণ লেগেছে। মাত্র দুই টাকা দিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে পেরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা খুবই খুশি। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলোর এগিয়ে আসা উচিত।
তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ঈদের আনন্দ সবার জন্য। কিন্তু এই আনন্দ সবার প্রাণে একইভাবে ছুঁয়ে যায় না। আমরা হয়তো অল্প কয়েকজন বাচ্চার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি, সংখ্যা বিবেচনায় এটি খুব ক্ষুদ্র। তবে সারাদেশে এভাবে মানুষ যদি এগিয়ে আসে তাহলে সমতার দেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।







বিজয় বসাক আরও বলেন, আমরা চাইলেই শিশুদের বিনামূল্যে জামা দিতে পারতাম। কিন্তু প্রতীকী মূল্য হিসেবে দুই টাকা করে টাকা নিয়েছি। এই টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্য হল, শিশুমনে যেন এমন ধারণা না হয়, তাদেরকে কেউ করুণা করছে, দয়া করছে।