কুমিল্লার মুনিয়ার মৃ’ত্যু নিয়ে নতুন তথ্য!! ওই ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রীর মতো ছবি রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক ত’রুণীর ঝু’লন্ত ম’রদেহ উ’দ্ধারের ঘ’টনায় বেরিয়ে আসছে নতুন সব তথ্য। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল অডিওক্লিপটিতে, এক ব্যক্তি এবং এক না’রীর কথোপকথন শোনা যায়। সেই কথোপকথনে ৫০ লাখ টাকার কথা উঠে আসে। তবে এই টাকার উৎস নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। অডিও ক্লিপে







ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, আমার টাকাটা দিয়া দিস, তুইই আমার টাকা নিছস। কান্নারত ত’রুণী বলেন, আ’ল্লাহরে ভ’য় পান না আপনি? আপনাকে কে বলছে আমি ৫০ লাখ টাকা নিছি, আমি কোনো টাকা নেই নাই। উত্তরে অন্যপাশ থেকে ওই ত’রুণীকে বারংবার অকথ্য ভা’ষায় গা’লাগা’লি করা হয়। যদিও অডিওক্লিপটিতে কথা বলা দুইজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অডিওক্লিপটি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকহারে ভাইরাল হয়েছে। তবে অডিওক্লিপের







ত’রুণীর প’রিচয় নিশ্চিত না হওয়া গেলেও ৫০ লাখ টাকার বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। কার কাছ থেকে কী কারণে ৫০ লাখ টাকা নিয়েছেন সে বিষয়ে এখনো কিছুই জানা যায়নি। অন্যদিকে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে পাওয়া চুক্তিপত্র অনুযায়ী ফ্ল্যাটটি মার্চ মাসের ১ তারিখে ভাড়া নেন মুনিয়া। পু’লিশ জানায়, চুক্তিপত্র অনুযায়ী অগ্রিম ২ লাখ টাকা দিয়ে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ওই বাসায় একাই থাকতেন কলেজছাত্রী মুনিয়া।এদিকে পু’লিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার







সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গ’ণমাধ্যমকে, জানান দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের প’রিচয় ছিল। ওই ফ্ল্যাটে তার যাতায়াতের বিষয়েও ত’থ্য পাওয়া গেছে। বড় বোনের অভিযোগ, ভিকটিমের স’ঙ্গে ওই শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দুই বছরেরও বেশি সময় ধ’রে প’রিচয় এবং সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য ঘ’টে। পরবর্তীতে মুনিয়া কুমিল্লা চলে যান পরে কুমিল্লা থেকে পুনরায় ঢাকায় আসেন। এসব ঘ’টনার পরিপ্রেক্ষিতে







পরবর্তীতে মুনিয়া তার বোনকে ফোন করে জানান, তার জীবনে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘ’টতে পারে। সুদীপ আরও জানান, যদি সাক্ষ্যপ্র’মাণ পাওয়া যায় যে, অ’ভিযুক্ত দো’ষী তাহলে অবশ্যই তার বি’রুদ্ধে বাংলাদেশের দ’ণ্ডবিধিতে যে ব্যবস্থা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে বলেও জানান তিনি। বাদী মা’মলার এজাহারে বলেন, মোসারাত জাহান (২১) মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। দুই বছর আগে মা’মলার আ’সামি সায়েম







সোবহান আনভীরের (৪২) স’ঙ্গে মোসারাতের প’রিচয় হয়। প’রিচয়ের পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন এবং সব সময় মোবাইলে কথা বলতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রে;মের স’ম্পর্ক গ’ড়ে ওঠে। এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালে মোসারাতকে স্ত্রী প’রিচয় দিয়ে আ’সামি রাজধানীর বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন। ২০২০ সালে আ’সামির পরিবার এক না’রীর মাধ্যমে এই প্রে;মের স’ম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে। এরপর আ’সামির







মা মোসারাতকে ডেকে ভ’য়ভী’তি দেখান এবং তাঁকে ঢাকা থেকে চলে যেতে বলেন। আ’সামি কৌ’শলে তাঁর (বাদী নুসরাতের) বোনকে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন এবং পরে বিয়ে করবেন বলে আ’শ্বাস দেন। এজাহারে আরও বলা হয়, সবশে’ষ গত ১ মার্চ মোসারাতকে প্র’রোচিত করেন আ’সামি। তিনি বাসা ভাড়া নিতে বা’দী নুসরাত ও তাঁর স্বামীর প’রিচয়পত্র নেন। ফুসলিয়ে তিনি মোসারাতকে ঢাকায় আনেন। তিনি গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কে বাসা (ফ্ল্যাট-বি-৩) ভাড়া নেন। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে আ’সামি







ও তাঁর (বাদীর) বোনের স্বামী-স্ত্রীর মতো ছবি তুলে তা বাঁ’ধিয়ে রাখা হয়। আ’সামি বাসায় এলে কক্ষটি পরিপাটি করে রাখা হতো। বা’দী নুসরাত এজাহারে বলেন, বোনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আ’সামি তাঁকে বিয়ে করে বিদেশে স্থায়ী হবেন। কারণ, দেশে থাকলে আ’সামির মা–বাবা আ’সামিকে কিছু না করলেও তাঁর বোনকে মে’রে ফেলবেন। গত ১ মার্চ থেকে আ’সামি মাঝেমধ্যে ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতেন। বা’দী এজাহারে বলেন, ২৩ এপ্রিল মোসারাত তাঁকে ফোন করেন।







মোসারাত তাঁকে বলেছেন, আনভীর তাঁকে বকা দিয়ে বলেছেন, কেন তিনি (মোসারাত) ফ্ল্যাটের মালিকের বাসায় গিয়ে ইফতার করেছেন, ছবি তুলেছেন। ফ্ল্যাটের মালিকের স্ত্রী ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন। এ ছবি পিয়াসা দেখেছেন। পিয়াসা মালিকের স্ত্রীর ফেসবুক বন্ধু। এখন পিয়াসা তাঁর মাকে সবকিছু জানিয়ে দেবেন। তিনি (আ’সামি) দুবাই যাচ্ছেন, মোসারাত যেন কুমিল্লায় চলে যান। আ’সামির মা জানতে পারলে তাঁকে (মোসারাত) মে’রে ফেলবেন। এজাহারে নুসরাত বলেন, দুদিন পর







২৫ এপ্রিল মোসারাত তাঁকে ফোন করেন। ওই সময় তিনি কা’ন্নাকা’টি করে বলেন, আনভীর তাঁকে বিয়ে করবেন না, শুধু ভো’গ করেছেন। আ’সামিকে উ’দ্ধৃত করে মোসারাত বলেন, আ’সামি তাঁকে বলেছেন, তিনি (মোসারাত) তাঁর শ’ত্রুর স’ঙ্গে দেখা করেছেন। মোসারাতকে তিনি ছাড়বেন না। মোসারাত চিৎকার করে বলেন, আ’সামি তাঁকে ধোঁ’কা দিয়েছেন। যেকোনো সময় তাঁর বড় দু’র্ঘটনা ঘ’টে যেতে পারে। তাঁরা (বা’দী নুসরাতের পরিবার) যেন দ্রুত ঢাকায় আসেন। এজাহারে আরও বলা







হয়, নুসরাত তাঁর আত্মীয়স্বজন নিয়ে বেলা দুইটার দিকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় রওনা দেন। আসার পথে বারবার মোসারাতের ফোনে ফোন করেন, কিন্তু তিনি আর ফোন ধ’রেননি। গুলশানের বাসায় পৌঁছে দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নিচে নেমে আসেন। তাঁরা নি’রাপত্তার’ক্ষীর কক্ষ থেকে বাসার ইন্টারকমে ফোন করেন। পরে ফ্ল্যাটের মালিকের নম্বরে ফোন দিলে মিস্ত্রি এনে তালা ভে’ঙে ঘরে ঢোকার পরাম’র্শ দেন। মিস্ত্রি ডেকে তালা ভে’ঙে ভেতরে ঢোকার







পর তিনি দেখেন, তাঁর বোন ওড়না পেঁচিয়ে শোয়ার ঘরের সিলিংয়ে ঝু’লে আছেন। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পু’লিশ এসে ওড়না কেটে মোসারাতের মৃ’তদে’হ নামায়। আ’লামত হিসেবে আ’সামির স’ঙ্গে ছবি, আ’সামির স’ঙ্গে প্রে;মের স’ম্পর্ক নিয়ে লেখা ডায়েরি ও তাঁর ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন নিয়ে যায় পু’লিশ। পু’লিশ সূত্র বলছে, আ’সামির প্রত্যক্ষ ও পরো’ক্ষ প্র’রোচনায়







২৬ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টার মধ্যে যেকোনো সময় মোসারাত মা’রা যান। বাদী নুসরাত মা’মলার আ’সামির বি’রুদ্ধে আ’ইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অ’নুরোধ জানিয়েছেন।