রাজধানীর গুল’শানে অ’ভি’জাত ফ্ল্যাট থেকে উ’দ্ধার মো’সারাত জাহান মুনি’য়ার ময়’নাত’দন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতা’লে শেষ হয়েছে।
তবে এ বিষ’য়ে ময়’না’ত’দন্ত’কারী চিকিৎ’সকের কো’নো বক্ত’ব্য পাওয়া যায়নি। ময়’না’ত’দন্ত শেষে আজ (২৭ এপ্রিল) মুনি’য়ার নি’থর দে’হ নেওয়া হচ্ছে তার গ্রা’মের বাড়ি কুমিল্লায়।







এদিকে, সোমবার (২৬ এপ্রিল) আ’ত্মহ’ত্যার প্ররো’চনার অ’ভি’যোগে মা’ম’লা করা হলেও স্বজ’নদের দাবি, তাকে হ’ত্যা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় গলায় ওড়’না প্যাঁচা’নো অব’স্থায় ম’র’দে’হ উ’দ্ধা’র করা হয়। ফ্ল্যাট’টিতে মুনিয়া’ একা থাকতেন এবং এক শি’ল্পপ’তির যা’তায়া’ত ছিল বলে জা’নিয়েছে পু’লিশ।







বাসায় এ’কাই থাকতেন ক’লেজ’ছা’ত্রী মুনি’য়া। খবর পেয়ে সোমবার স’ন্ধ্যায় বাসার তিন তলার ফ্ল্যা’ট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁ’চা’নো অব’স্থায় ঝুল’ন্ত লা’শটি উ’দ্ধার করে গুল’শান থা’না পু’লি’শ।
এ ঘটনার পর সোমবার রাত দেড়’টার দিকে গুল’শান থা’নায় একটি মা’ম’লা দায়ের করেন মু’নিয়ার বড় বোন নুস’রাত জাহান। থা’না থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণ’মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। পু’লি’শ বলছে, একটি শী’র্ষ স্থা’নীয় শিল্প প্রতি’ষ্ঠানের ব্যব’স্থাপনা পরিচাল’ককে আ’সামি করে মা’ম’লা দায়ের করা হয়েছে।







‘চলেন সবাই মিলে রাস্তায় নামি’
একটা সুষ্ঠু জীবন-জীবিকার জন্য আন্দোলন করা দরকার বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতা’লে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পু’লিশের গু’লিতে শ্রমিক হ’ত্যাকা’ণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।







ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্রমিক হ’ত্যাকা’ণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন ৮ সদস্য টিমের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।







সভায় আরো বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ই’স’লা’ম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ই’রান, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ূম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।







ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাশঁখালীর ঘটনায় একজন সাহসী বিচারপতির নেতৃত্বে একটি সাহসী বিচার বিভাগীয় ত’দ’ন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। যারা এই দেশ গড়েছেন, যে কৃষক খাবার যোগান দিয়েছেন, যে শ্রমিক উন্নয়ন দিয়েছে তারা আজ নির্যাতিত। জনগণ যখন কথা বলতে পারে তখন বোঝা যায় কেমন স্বাধীনতা আছে। ৭৪ এ দুর্ভিক্ষে ৩ লক্ষ লোক মা’রা গিয়েছে। মানুষ তখন না খেয়ে ছিল৷ আজ মানুষ অনাহারে নেই তবে অর্ধাহারে আছে৷







তিনি বলেন, বাঁশখালীতে ১৮ বছরের একটি ছে’লেকে গু’লি করে মে’রে ফেলেছে। বিধবা মা তাকে ক’ষ্ট করে মানুষ করেছিল। পু’লিশ মে’রেছে নাকি, গুন্ডা বাহিনি গু’লি করে মে’রেছে কেউ বলেনি। এমন কি পু’লিশও কথা বলতে ভয় পায়।







দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের আর সময় নেই। রাস্তায় না নেমে, আন্দোলন না করে এই মাফিয়া রাষ্ট্রের স্থাপনটাকে শক্ত করে দিচ্ছি। চলেন সবাই মিলে রাস্তায় নামি। সাহস করে রাস্তায় নামতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ফিরব না। পরিবর্তন চাই, পরিবর্তন হবেই। এভাবে দেশ চলবে না। কেউ বিচারের বাইরে থাকতে পারবে না। আন্দোলন করা দরকার একটা সুষ্ঠু জীবন-জীবিকার জন্য।







সরকারকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ব’ন্দু’কের গু’লি দিয়ে কোনো রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না। আপনিও পারবেন না। ভালো হয়ে যান। সারা পৃথিবীকে জানানো দরকার আম’রা মাফিয়া রাষ্ট্রে আছি।
সংবাদ সম্মেলনে বাঁশখালীর সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন,







১৭ এপ্রিল বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পু’লিশের গু’লিতে সাতজন নি’হ’ত ও শতাধিক আ’হত। যখন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয় তখন বলা হয়েছিল টেক্সটাইল মিল হবে। পরবর্তী সময়ে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র হয় স্থানীয় জনগণের আনদোলন উপেক্ষা করে। সেখানেও হা’ম’লা হয়। অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে সেখানে আগে থেকেই নানান জটিলতা আছে৷







তিনি বলেন, ১৬ এপ্রিল শ্রমিকরা আন্দোলন করে। মা’র্চ মাসের বকেয়া বেতন, রোজার মধ্যে ৮ ঘণ্টা কর্ম ঘণ্টা, জুমা’র নামাযের সময়, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেটের দাবিতে। মালিকদের দাবি সেখানে কর্ম’রত চায়নিজদের বাড়ি আক্রমণ করতে যাওয়ার কারণেগু’লি করেছে পু’লিশ। শ্রমিকদের দাবি, পু’লিশ নিজেরাই তাদের গাড়িতে আ’গু’ন দিয়েছে।







গণসংহতি আন্দোলনের এ নেতা বলেন, ওখানে শ্রমিক নিয়োগের সিন্ডিকেট আছে৷ স্থানীয় প্রভাবশালীদের টাকা দিয়ে কাজ পেতে হয়। সরাসরি কম্পানি শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে সাব-কন্ট্রাক্ট দেওয়া হচ্ছে। ফলে শ্রমিকরা অধিকার বঞ্চিত হয়। সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ন্যায়সংগত দাবি মেনে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পু’লিশ ও গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে গু’লি করে শ্রমিকদের হ’ত্যা করা হয়েছে।







ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ই’স’লা’ম বাবলু বলেন, এটি একটি চায়নিজ কম্পানি। ২০১৬ সালে এই ফ্যাক্টরি করার সময় চারজন নি’হ’ত হয়। ২০১৭ সালেও একজন মৃ’ত্যুবরণ করেছে।নাগরিক সংবাদ সম্মেলনে ও প্রতিবাদসভায় ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ই’স’লা’ম বাবলু।






