আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন চলমান লকডাউনের পরে জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে।
তিনি লকডাউন শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।







ওবায়দুল কাদের আজ সকালে বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মক’র্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভা’র্চুয়ালি যু’ক্ত হন।
গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অ’তিরিক্ত নিলে তাদের শা’স্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।







করো’নাভাই’রাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁ’কি মেনে নিয়েই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল রোববার থেকে সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট-শপিংমল খোলা থাকবে।
গতকাল শুক্রবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মানুষের ‘জীবন-জীবিকার বিষয়’ বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।







গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের ফলে সংক্রমণ কিছুটা কমে আসছিল। শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ থেকে গতকাল ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, করো’নার সংক্রমণ ও মৃ’ত্যু কমাতে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি হলো লকডাউন। তাদের অ’ভিমত, লকডাউনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষকে পরস্পরের কাছ থেকে দূরত্বে রাখা। সেটি করতে হলে সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।







কিছু খোলা রেখে, কিছু বন্ধ রেখে লকডাউন হয় না। দোকানপাট-শপিংমল খুলে দেওয়া হলো। এখন প্রশ্ন হলো, মানুষ শপিংমলে যাবে কী’ভাবে? এ অবস্থায় গণপরিবহন চালুর দাবি উঠতে পারে।
আর ওই দাবির মুখে গণপরিবহন চালু করা হলে সড়কে আগের মতো যানজট পড়বে, সামাজিক দূরত্বও থাকবে না। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধিও মানা কঠিন হয়ে পড়বে। এতে করে সংক্রমণ ও মৃ’ত্যু আবারও বাড়তে পারে।







এরই মধ্যে ২৮ এপ্রিলের পর বিধিনিষেধ আরও শিথিল করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, বিধিনিষেধ আরও শিথিল করা হতে পারে। জীবনযাত্রা কী’ভাবে চলবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে তখন আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।