






তাদের এই স’ম্পর্ককে আজ কুর্নিশ জানাচ্ছে নেটিজেনরা। আপন হলেন একটি এলাকার হি’জড়াদের নেতা। তার সঙ্গে ব্য’বসায়ী আশিক অব্বাসের প্রে’মের স’ম্পর্ক প্রায় ১৩ বছর ধরে। আপন জানান, ‘আমাদের তৃ’তীয় লি’ঙ্গের মানুষ যেটা পায় না, সেটা আমি ওর কাছ থেকে পেয়েছি এবং তার বি’নিময়ে যে কোনও স্বার্থ থাকতে পারে, তাও আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি।’
আশিক ও আপন দুজনের প্রথম দেখা পথের ধারে। প্রথম থেকেই আপনের প্রতি দু’র্বলতা তৈরি হয় ব্যবসায়ী আশিকের। সেই অ’ভিজ্ঞতা তুলে ধরে আশিক জানান, ‘আমি দেখলাম দু’জন মানুষ আসছে। দু’জন মানুষ বলতে তারা, আমি দুর থেকে বুঝতে পারলাম যে, এরকম হি’জড়া যে বলে যাদেরকে, এরকম কেউ আসছে।







কোনও না’রীও না কোনও পুরুষও না, এরকমটা মনে হলো দূর থেকে আ’রকি।’ তিনি আরও জানান, ‘সামনে আসার পর আমি কেন জানি, আ’মার হাতে থাকা খাবার ওকে দিলাম, আর সেটা আমার কাছ থেকে নিয়ে খেলো, আমি নিজেও কিছু স’ময়ের জন্য হ’তভম্ব হয়ে গেলেও আমা’র কাছে জিনিসটা ফি’লিংসই মনে হলো।
খুব ভালো লা’গলো। আমা’র অন্তরে জানি কেমন লাগলো।’এরপর ব’ন্ধুত্ব থেকে প্রে’ম। শুরুর দিকে ওই স’ম্পর্ক নিয়ে দোটানা ছিল দু’জনের মধ্যেই।‘এদের স’ম্পর্কে তো আমা’র কোনো ধরণের অ’ভিজ্ঞতা ছিল না। তো হি’জড়ারা কেমন হয়, সে বিষয়ে আ’তঙ্ক ছিল আমা’র মধ্যে।’ কিন্তু… এই কথাগুলো বলছিলেন আশিক।







এসময় আপন বলে উঠেন, ‘ভিতর ভিতর ভ’য় পা’চ্ছিলাম আমিও। যে এত সুন্দর হিজড়া থাকতে, আমি তো দেখতে এতটা ভালো ছিলাম না। তো আমি তো, এত সুন্দর একটা ছে’লে, ওর শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো, ও ভালো একটা ফ্যা’মিলির ছে’লে, তো ও কেন আমা’র পিছনে।’পরে আশিক আ’ব্বাসের পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনের পরিচয় হয়।
এরপর পারি’বারিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানও করেন তারা। এর কিছুদিন পর…. আইনিভাবেও তা’দের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।কয়েকজন হিজড়ার সঙ্গে পরিবারের স’দস্যের মতো বসবাস করেন আশিক আর আপন। আপনের চাওয়া, আশিক যেন ভবিষ্যতে আবার বি’য়ে করেন।আপন বলেন, ‘আমা’র ধীরে ধীরে বয়স হচ্ছে। ওরও (স্বামী আশিক) বয়স হচ্ছে।







ও আ’রেকটু স্বাবলম্বী হলে আমি ওকে বিয়ে করাবো, এটা আমা’র স্বপ্ন। আমি ওর কোলে একটা ফু’টফুটে সন্তান দেখতে চাই। এটা আমা’র স্বপ্ন।’ তবে আ’শিকের সকল চাওয়া পাওয়া তার জীবনসঙ্গী আপনকে ঘিরেই। আশিক জানান, ‘আম’রা একটা বাচ্চা এরই মধ্যে পালক (দত্তক) নিয়েছি।
তারপরেও আমা’র যদি ওই রকম প্রয়োজন হয়, (পদ্ধতি ব্যবহার করে) ওরও বাচ্চা ধরণ করা সম্ভব।’স’বশেষ আপন জানান, ‘এভাবে আমাদের জীবনটা শুরু হলো, এখনও আছে। ওপরওয়ালার কাছে প্রা’র্থনা, যদি কোনও বাধাবিঘ্নতা না আসে, সারাটা জীবন একসাথেই থাকতে চাই।’ সূত্র: বিবিসি