






হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সাতদিনের রিমান্ডে আছেন।‘হত্যার উদ্দেশ্যে, আঘাতে গুরুতর জখম, চুরি, হুমকি ও ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগের অভিযোগ’-এসব মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় তার। এদিকে রিমান্ডে তাকে মামলা সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করা হলেও সেসব প্রশ্নে ২৬ মার্চসহ বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনার প্রসঙ্গের কথা উঠে আসছে। তাই এসব বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে







এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামুনুলকে গ্রেফতারের পর পুলিশের একাধিক ইউনিট তাকে বিভিন্ন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রিমান্ডে আনার পর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রসঙ্গক্রমে ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চে হেফাজতের নাশকতার বিষয়টি উঠে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, রিমান্ডে পুলিশের এক কর্মকর্তা তাকে প্রশ্ন করেন- সরকারের মন্ত্রী এমপিদের নিয়ে সমালোচনা করেছেন, তাদের জুতাপেটা করার ঘোষণা দিয়েছেন। সে কথাগুলো ওয়াজ মাহফিলে এবং বিভ্রান্তিকর বার্তা দিয়ে কাওমি মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুদের আক্রমণাত্মক করেছেন। এই ঘটনার দায় তো আপনি এড়াতে পারেন না। আপনার উস্কানিতে নাশকতাগুলো হয়েছে।







এ প্রশ্নে জবাবে মামুনুল হক বলেছেন, ‘যেহেতু আমি নেতা, আমিতো দায় এড়াতে পারিই না।’
ওই সূত্র জানায়, রিমান্ডে মামুনুলের কাছে পারিবারিক জীবন, শিক্ষকতাসহ নানা বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পুলিশের সব প্রশ্নে অকপটে উত্তর দিয়েছেন মামুনুল। কোনো প্রশ্ন তাকে দুইবার জিজ্ঞেস করতে হয়নি।
এদিকে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ রিমান্ডের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও সাংবাদিকদেরকে জানান, ‘সাধারণ মানুষকে উস্কানি, সরকারকে বিদায় করা, মন্ত্রীদের কটূক্তি করার বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। এছাড়াও এসব কাজে তাকে বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে থেকে কেউ প্যাট্রোনাইজ (পৃষ্ঠপোষকতা) করছে কি-না, অর্থ দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান বানানোর প্রচেষ্টা হচ্ছে কি-না সবকিছুই আমাদের তদন্তে আসবে।’







অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থার একটি ইউনিট জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা মামুনুল হকের বিষয়ে ছায়া তদন্ত করছে। তদন্তে তারা মামুনুলের চতুর্থ বিয়ের বিষয়ে কিছু তথ্য পেয়েছে। পাশাপাশি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার সময় মামুনুলের বিরুদ্ধে কিছু সমকামিতার অভিযোগও পেয়েছে। সেগুলো বর্তমানে তদন্ত করা হচ্ছে।