






একেই বলে হয়তো ভা’লোবাসার উপহার ৷ ফুলের তোড়া নয়, নয় ক্যান্ডেল লাইটল ডিনার ৷ দামি পারফিউম কিংবা নয় লা’ক্সারি ট্যুর ৷ বিবাহবার্ষিকীর দিন স্বামীর আয়ু বা’ড়িয়ে দিলেন স্ত্রী ! এরকমই এক ঘটনা ঘটল ইন্দোরে ৷ বিয়ের ১৭ তম বিবাহ’বার্ষিকীতে এমনই ঘটনা ঘটালেন রবিদত্ত সোনির স্ত্রী প্রভা !
উ’পহার হিসেবে প্রভা দান করলেন নিজের একটা কিডনি ! গত আট মাস ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগ’ছিলেন রবিদত্ত সোনি ৷ নিয়মিত চলছিল ডায়েলেসিসও ৷ কিন্তু দু’দিন আগেই শা’রীরি’ক অবস্থার অবণতি ঘটে ৷ দেরি করে না প্রভা ৷ দ্রুত চলে আসেন ইন্দোরের বড় হাসপাতালে ৷







ডাক্তারের প’রামর্শে ভর্তি করা হল রবিদত্ত সোনিকে ৷ প্রভা টেনশনে ৷ কী হবে ভেবেই চলছে সারাক্ষণ ৷ ডাক্তার জা’নালেন রবির কিডনির প্রয়োজন ৷ আগে-পিছু না ভেবে প্রভা ডাক্তারকে জানিয়ে দিলেন, প্রভাই দেবে স্বামী রবিকে কিডনি ! শুরু হল প্রভার চেকআপ ৷ দেরী না করে শুরু হল অপারেশন !
অপারেশন হওয়ার পর প্রভা ডা’ক্তারকে জানালেন, বিবাহবার্ষিকীর কথা ৷ আর রবি ডাক্তারকে জানালেন, ‘ব’উয়ের থেকে সেরা উপহার পেয়ে গেলাম !’ রবি ও প্রভা এখন আছেন সুস্থ ৷ ‘







আরও পরুনঃ হা’সপাতালে ২জন রোগী পাশাপাশি বিছানায় থাকেন। ২জ’নেই মৃত্যু শ’য্যায়। একজন রোগী থাকতো জানালার কাছে। বিছানা থেকে উঠে বসার ম’তো শক্তি ছিল না কারোরই। তবুও জানালার কাছে থাকা রোগীটি নার্স কে ডেকে প্রতিদিন বিকেলে এক ঘণ্টার জন্য জানালার পাশে উঠে বসতেন।অপলক চেয়ে থাকেন তিনি বাইরের দিকে… ১ ঘণ্টা পরে পাশের বিছা’নায় শুয়ে থাকা রোগীর কাছে বাইরে কি কি দেখল তাঁর বর্ণনা করতেন।







তিনি প্রতিদিন ব’লতেন–“বাইরে অনেক পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। ছোট ছোট শিশুরা মাঠে খেলা করছে। বাচ্চারা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দি চ্ছে পানিতে… পাশের বিছানায় শুয়ে শুয়ে রোগীটি এইসব কল্পনা করতো। আর ম’নের আকাশে উড়ে বেড়াতো মেঘেদের সাথে। অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতো এসব বর্ণনা শুনে।
হঠাৎ এক’দিন জানালার পাশে থাকা রোগীটি মারা গেলেন। পাশের বিছানার রোগীটি তখন নার্স কে অনুরুধ করলো তাকে যেন জানালার পাশের বেড এ থাকতে দেওয়া হয়। বিকেল হলো। সে আজ প্রকৃতি নিজ চোখে দে’খবে। অনেক আশা নিয়ে কনুই এ ভর করে চোখ রাখলেন জা’নালায়… কিন্তু হায়!!







সে’খানে তো সাদা দেয়াল ছাড়া আর কিছুই নেই!!!! নার্স কে ডাকলেন,জিজ্ঞেস করলেন–“এখানে তো দে’য়াল ছাড়া কিছুই নেই! তাহলে প্রতিদিন সে আমাকে কিভাবে সুন্দর ফুল,প্রকৃতির,পা’খির বর্ণনা করতো?!!” নার্স হাসিমুখে উত্তর দিলো–“আসলে উনি ছিলেন অন্ধ। আপনাকে বেঁচে থাকার উৎসাহ দিতেই এসব গল্প শুনাতেন.. উপরে দুই’জনের গল্পের মানে হলো নিজের দুঃখ কারো সাথে শে’য়ার করুন, তাহলে দুঃখটা অর্ধেক হয়ে যাবে। আর নিজের সুখটা কারো সাথে শে’য়ার করে দেখুন, দেখবেন তা দ্বিগুন হয়ে যাবে!