






মোসারাত জাহান মুনিয়া। রাজধানীর গুলশানের মতো অভিজাত এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। প্রতি মাসে ভাড়া দিতেন লাখ টাকা।
আত্মহত্যার পর এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনিয়াকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন সরব মুনিয়াকে নিয়ে।
বুধবার মুনিয়ার ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। সেখানে দেখা গেছে, একটি রুমের মধ্যে উচ্চস্বরে হিন্দি গান বাজছে।







সেখানে বিভিন্ন রঙের আলো জ্বলছে। লাল রঙের একটি ওয়েস্টার্ন পোশাক ও পায়ে উঁচু হিল পরে গানের তালে তালে নানা অঙ্গ-ভঙ্গিতে নাচছেন মুনিয়া। এই দৃশ্য কেউ একজন ভিডিও ধারণ করেছেন। তবে ভিডিওটি কবে, কোথায় করা তা যাচাই করা তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব হয়নি।
হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরীর (শারুন চৌধুরী) সঙ্গেও মুনিরার যোগাযোগ ছিল বলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কিছু স্ক্রিনশর্ট ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। তবে এসব বিষয় অস্বীকার করেছেন হুইপপুত্র।







গত সোমবার কোনো একসময় গুলশানের বিলাসবহুল ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মুনিয়া। পরে রাতে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
গুলশান থানায় মুনিয়ার বোনের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২১ বছরের তরুণী মোসারাত জাহান পড়াশোনা করতেন মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। প্রশ্ন উঠেছে, একজন কলেজ শিক্ষার্থী কী করে লাখ টাকা ভাড়ায় একা গুলশানের মতো অভিজাতপাড়ায় থাকতেন?







পড়াশোনার বাইরে মুনিয়ার কোনো পেশা ছিল না। তাহলে বাসা ভাড়া, জীবনযাপনসহ পড়াশোনার খরচ কোথায় থেকে আসত? সেই সুবাদে সামনে আসছে মুনিয়ার পরিবারের বিষয়টি। এই ব্যয় বহনে মুনিয়ার পরিবার কতটা সচ্ছল?
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছে, মুনিয়া গুলশান-২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের যে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন সেটি ছিল তার ভাড়া বাসা। দুই মাস আগে উঠেছিলেন সেখানে। অগ্রিম দুই মাসের ভাড়াও দিয়েছিলেন।







প্রতিমাসে ভাড়া ছিল এক লাখ টাকা। তিনি একাই নাকি থাকতেন ওই বাসায়। এতো টাকার উৎস বা তিনি (মুনিয়া) কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন সব বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্ত