






গ্রেপ্তারের ঘন্টা খানেক আগে নিজের ফেসবুক পেজে মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাযীকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন মামুনুল হক।
একটিভ নিউজের পাঠকদের জন্য সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল।
স্ট্যাটাসে মামুনুল হক লিখেন:
আমার সামনেও ঝুলছে গ্রেপ্তারের খড়গ। আমাদের মঞ্জিল বহু দূর। আমরা সাহস হারাই না। আমরা জানি, সত্যের এ পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। কাঁটায় ভরা এ পথ চলতে বুকে হিম্মত নিয়েই মাঠে নেমেছি। ওদের কুৎসিত কদর্যতার মোকাবিলায় আমরা ফোটাই সত্য-সুন্দরের সুবাসিত ফুল। কারাবরণ তো সংগ্রামের পথে সাফল্যের মাইলফলক। আমার কপালেও যদি জুটে যায় সে ভাগ্য, নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করব। অপবাদের পর কারাভোগ নবী ইউসুফ আলাইহিসসালামের পূর্ণাঙ্গ সুন্নত। আমরা তো জেল-জুলুমই নয়, শাহাদাতের তামান্না নিয়ে সংগ্রামের পথ মাড়াই। জিন্দান খানার পথে সংগ্রামীদের সহাস্য বদন আমাদেরকে উজ্জীবিত করে, অনুপ্রেরণা যোগায় ত্যাগ আর কুরবানীর।







ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক।
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে রবিবার (১৮ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম যৌথ অভিযানে মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।







মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র এ বিষয়ে জানায়, সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।