মাত্র দেড় মাস আগে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেন আশিকুজ্জামান খান ও মুনা সরকার। আগামীর ভাবনায় নিজেদের জীবনে অনেক নতুন স্বপ্ন বুনেছিলেন তারা। কিন্তু পুরান ঢাকার আরমানিটোলার ভবনের আগুনে তছনছ হয়েছে তাদের সব স্বপ্ন। এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে







আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন নবদম্পতি আশিকুজ্জামান খান ও মুনা সরকার। শুধু আশিকুজ্জামান খান ও মুনা সরকারই নয়, এ পরিবারের ছয়জন আগুনের তাণ্ডবের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে মুনার ছোট বোন সুমাইয়া সরকার মারা গেছেন, যিনি ইডেন মহিলা কলেজে ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মুনা সরকারের মা







সুফিয়া সরকার ও ভাই জুনায়েদ সরকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর বাবা ইব্রাহিম সরকারও চিকিৎসা নিচ্ছেন একই হাসপাতাল। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ইব্রাহিমের ভাগনি আমেনা খাতুন বলেন, পরিবারের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুমাইয়া মারা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুনা ও তার স্বামীর







অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরা দগ্ধ হননি। তবে ধোঁয়ার শিকার হয়ে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে। আমেনা খাতুন বলেন, সুমাইয়ার মরদেহ ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে রয়েছে। তার মরদেহ সোনারগাঁয়ে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে। আফসোসের বিষয়, বিদায়বেলায় মেয়েকে দেখতে পারবেন না পরিবারের কেউ। তিনি







আরো বলেন, মাত্র দেড় মাস আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মুনা সরকার ও বুয়েটের ছাত্র আশিকুজ্জামান খানের বিয়ে হয়। এ নবদম্পতি এখন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ আগুন তাদের দাম্পত্য জীবনের স্বপ্নগুলো তছনছ করে ফেলেছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আশিকুজ্জামানের বাবা







আবুল কাশেম খান বলেন, আশিকুজ্জামান খালার বাসায় থেকে লেখাপড়া করে। পরশু রাতে শ্বশুরের বাসায় এসেছিল সে। ভোরে তার শ্বশুরের বাসার নিচে রাসায়নিক গুদামে আগুন লেগেছে শুনেই ময়মনসিংহের বাড়ি থেকে থেকে ছুটে এসেছি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী সার্জন খন্দকার







নাজমুল হক জানান, আরমানিটোলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এরমধ্যে ১৬ জন পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে রয়েছেন। বাকি চারজন আইসিইউতে। আইসিইউর রোগীদের পুরো শরীর পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্বাসনালিও।