






রাজ’ধানীর গুল’শা’নের ১২০ নম্বর স’ড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যা’ট থেকে উ’দ্ধার কলে’জছাত্রী মোসা’রাত জাহান মুনিয়ার গ’লায় ক্ষতচিহ্ন, নি’ম্না’ঙ্গ র’ক্তাক্ত ছিল বলে সুর’তহাল রি’পোর্টে উ’ল্লেখ করা হয়েছে।
পুলি’শ বলছে, তারা গুল’শা’নের ওই ভব’নের ক্লো’স সা’র্কিট ক্যামেরার ফুটেজ বি’শ্লে’ষণ কর’ছে। অপ’রদিকে মুনি’য়ার বোন নুস’রাত জাহান বল’ছেন, মুঠো’ফো’নের মাধ্যমে তাকে নানা ধর’নের হু’মকি দেওয়া হচ্ছে।







গত সোমবার সন্ধ্যায় কলে’জছাত্রী মুনি’য়ার লা’শ ‘উ’দ্ধা’র করে পুলি’শ। এ ঘট’নায় তার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসু’ন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সো’বহান আন’ভী’রের বি’রু’দ্ধে আ’ত্মহ’ত্যায় প্র’রো’চনার অভি’যোগ এনে একটি মা’ম’লা দা’য়ের করেন।
মা’মলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সা’য়েম সোবহানের সঙ্গে প্রে’মের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। ১ লাখ টাকা ভাড়ার ওই ফ্ল্যা’টে নিয়মিত যাতায়াত কর’তেন করতেন সা’য়েম সোব’হান। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থা’কতে’ন। মুনিয়া’র বোন নুসরাত জাহা’ন তানিয়া







অভি’যোগ ক’রেন, তার বোনকে বিয়ে’র কথা বলে ওই ফ্ল্যা’টে রে’খেছি’লেন আন’ভীর। একটি ছবি ফেসবু’কে দেওয়া’কে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষি’প্ত হয়। মুনিয়া’কে হ’ত্যা ক’রা হয়ে থাকতে পারে বলে অভি’যোগ করেন তিনি।
মুনি’য়ার নি’হ’তের ঘটনা’টি হ’ত্যা নাকি আ’ত্মহ’ত্যা, সে বিষয়ে এখনও পরি’স্কার কিছু জানা’তে পা’রেনি পুলি’শ। ময়’নাত’দ্ন্ত প্রতি’বেদন না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সি’দ্ধান্তে আসা যাবে না বলে জা’নানো’ হয় পু’লি’শের পক্ষ থেকে।







ম’রদে’হের সুরতা’হাল রি’পোর্টে বলা হয়েছে, গ’লার বাম পা’শে অর্ধ চ’ন্দ্রা’কৃতির গভীর কা’লো দাগ আছে। যৌ’না’ঙ্গ দিয়ে র’ক্ত বের হও’য়ার আলামত মিলেছে বলেও উল্লেখ আছে।
এদিকে গত মঙ্গ’লবা’র রাত থেকে মুনি’য়ার বড় বোন নু’স’রাতকে মুঠো’ফোনে কল দিয়ে হু’মকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভি’যোগ করেছেন। নুসরাত বলেন, ‘অ’গনি’তবার ফোন করে আমাকে খারা’প খারা’প কথা বলছে। নম্ব’র’গুলো নোট করে রেখেছি আমি। ফোন অফ করে দিয়েছি আমি।’







অপর’দিকে মুনিয়ার মৃ’ত্যু’র বিষয়টি নিয়ে স্বরা’ষ্ট্রম’ন্ত্রী আসাদু’জ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমি একটি ব্যাপারে পরি’স্কার, আইন তার নিজের অনু’যায়ী চলবে। যে-ই অ’পরা’ধী হবে, তাকে আই’নের মু’খো’মুখি হতে হবে, বিচা’রের মু’খো’মুখি হতে হবে। এটা তদ’ন্তনা’ধীন রয়ে’ছে, তদ’ন্তের প’রই আমরা ব’লতে পারব।’
এর আগে গতকাল বুধবার গ’ণমা’ধ্যমে সা’ক্ষা’ৎকার দেওয়া নুস’রাতের একটি ভিডিও প্র’কাশ্যে আসে। সেখানে তিনি তার বোনের প্রেম-সম্পর্ক-মর’দে”হ উ’দ্ধা’রের বি’ষয়গু’লো ছাড়াও মু’নিয়া’র সঙ্গে তার শেষ কথো’পকথ’নের বিষ’য়গু’লোও তুলে ধরেন।







অভি’নেতা বা’প্পির সঙ্গে মু’নিয়ার স’ম্পর্ক নিয়ে গু”ঞ্জন:
ছোট বোন মুনি’য়ার সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা বা’প্পির প্রেমের যে সম্পর্ক ছিল, তা নিয়ে নুসরাত বলেন, ‘এগু’লো কেউ রটা’চ্ছে, মিথ্যা কোনো কথা।
পরিচয় মানু”ষের থা’ক’তেই পারে, আপ’নার সাথে আমার থাকতে পারে, আ’রেক’জনে’র সাথে থাকতে পারে। এর মানে হচ্ছে এটা না। আমার কথা হচ্ছে আমার বোন চলে গেছে এখন ওর চরিত্র নিয়ে অনেক কিছু আসবে আমি এটা জানি। আমার বোন মারা গেছে, আমার সন্তান মা’রা গেছে। এখানে তার চরিত্র কি ছিল, তার ব্য’ক্তি’গত ব্যাপার।







প্রমাণ করুক কেউ, ওর চরিত্র খারাপ ছিল। ও মরে গেছে। এ রমজান মাসে ওরে মাই’রা ফেলছে, না হয় ম’রে গেছে, না হয় বাধ্য করছে। যেটাই করুক ও’ইটারই বিচার চাই। যেই করেছে আমি চাই বিচার হোক। আমি আ’পনা’দের মাধ্যমে স’রকা’রকে বলতে চাই।’
মুনিয়াকে নি’য়’ন্ত্রণ করতে পারেননি নুসরাত:
বড় বোন হয়েও ছোট বোনকে নি’য়’ন্ত্রণ করতে পারেননি নুসরাত। এ ব্যা’পারে তিনি বলেন, ‘দুই মাস আগে আ’মার সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। আমি পাঁচদিন কথাও বলি নাই। সে ঢাকায় যাবে, সে বাসা নেবে। ইন্টার প’রীক্ষা’ও দিবে আমাকে খু’শি করতে বলছে। আনভী’র ওকে বিয়েও করবে। বলতেছে আপু এটা কাউকে বলা যাবে না, আনভীর নি’ষে’ধ করছে।







আমি বলছি এটাতো আমি রাজি না, এটা হয় না। এটা কীভাবে হবে? বলে যে না কিছু’দিন গো’পন রাখতে হবে বলছে, বিয়ে করে। বিয়ে করে পরে বাইরে নি’য়ে স্যাটেল করবে। আমি পারিনি… আনভী’রকে সে অনেক ভালোবাসতো।’
অডিও রে’কর্ডিং’য়ের ব্যাপারে নুসরাত যা বললেন:
একটি অডিও রেকর্ডে ৫০ লাখ টাকা বিষয়ে দুই’জনের ক’থোপ’কথন শোনা যায়। মুনি’য়া কোনো টাকা নিয়েছিল কিনা জানতে চাইলে বড় বোন বলেন, ‘মুনিয়া টাকা নিয়েছিল কিনা টাকার এটা আমরা শুনার পর ধারণা করেছি,







বিয়ের কথা আসায় আনভীর এমন ব্লেম দিয়েছে। যেন সে চলে আসে। এটা হতে পারে, তবে আমার বোন টাকা নেয়নি। সে আনভীরকে ভালো’বাসতো। তাকে ফুঁ’স’লিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
আমি নাকি আনভী’রকে ফাঁ’সা’তে মুনি’য়াকে ব্যব’হার করেছি- এ কথা উল্লেখ করে নুসরাত জা’হান বলেন, ‘আমায় একটা নাম্বার থেকে ফোন করে টা’কার জন্য। আমাকে অনেক নোংরা কথা বলেছে।
আমি নাকি ওরে দি’য়া ব্যবসা…। ফোনে বলে এখন মিডি’য়া করতেছি, কথা বলতেছি এগুলো টাকা নেওয়ার জন্য করতেছি। বোনকে দিয়ে বিজনেস করানোর জন্য আনভীরকে ফাঁ’সা’চ্ছি। এরপর ফোন কেটে দিছি।’







মুনি’য়ার আ’ত্ম’হ’ত্যা নিয়ে সন্দেহ:
ছোট বোনের আ’ত্ম’হ’ত্যা নিয়ে সন্দেহ পো’ষণ করে নুসরাত বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে হত্যা। ও পাঁচ ওয়া’ক্ত নামাজি ছিল। তা’হাজ্জুদ পড়ত, পাঁচ ওয়াক্ত যে নামাজ পড়ে সে কীভাবে সুই’সাই’ড করে? যদি সুই’সাইড করেও থাকে এমন কিছু অ’পমান’জন’ক করা হয়েছে যা
সে নিতে পারেনাই। এখানে অনেক সি’ন্ড্রো’ম ছিল যে মা’র্ডার করা হয়েছে। আমার মনে হয় না, সে সুইসা’ইড করতে পারে। আমরা তো ঝু’ল’ন্ত পেয়ে আ’ত্ম’হ’ত্যা ভাব’ছি। পরে মা’থায় আসলো একটা মানুষ যদি ঝু’লে যায়, তা পা ছ’ট’ফট করে তাহলে একটা সিট সা’জনো ছিল। সিট’টা নিচে পড়ে যাওয়ার কথা।’







তিনি আরও বলেন, ‘সাধা’রণ সেন্স আর কি যেটা ওই সময় আমার হি’তা’হিত জ্ঞা’নে আসে নাই। যেটা আমি পরে ভেবেছি। সব পরি’পাটি ছিল যেটা আমি ও পুলি’শ অব’জার্ভ করেছি।
পুলি’শ’ও শত’ভাগ বলতে পারবে না যে এটা সুই’সাই’ড ছিল। ওনারা এ রকম অনেক কেস ডিল করেন, আমার চেয়ে ওনারা বে’শি অ’ভি’জ্ঞ। হয়’তো তাকে মেরে ঝু’লিয়ে রাখা হয়েছে।’
ঘট’নার দি’নের ব্যা’পারে নুস’রাত যা বলেছেন:
আ’ত্মহ’ত্যা’র দিন সকালে বিপদের আভাস দিয়েছি’লেন মুনিয়া- একথা উল্লেখ করে নুসরাত জানান বলেন, ‘সোমবারে সকাল বেলায় কথা হয়েছে লাস্ট। সোমবার যে কথা হয়েছে,







আমাকে ফোন করে, ওর ফোনের কা’ন্নায় আমার ঘু’ম ভাঙে, ও ফোন দিয়া বলে আমাকে ধোকা দিয়েছে, আপু আনভীর আমাকে ধো’কা দিছে। সে আমায় বলে আ’পু আমি অনেক বি’প’দে আছি, অনেক বিপদে আছি তুমি তা’ড়াতাড়ি বাসায় আসো। আমি তাকে বু’ঝাই, বলি তুমি একটু রেডি হও, তোমাকে আপু এসে নিয়ে যাচ্ছি। কুমি’ল্লা নিয়া আসব, পরে বলে যে আমি তো তোমার সাথে অভিমান করে চলে আসছি, এখন কীভাবে আসব।
ওর ল’জ্জা কাজ করছিল তো আমি ওকে নর’মাল করি। ১১টার দিকে সে আমায় কল করে বলে আপু আমার অনেক বি’প’দ তুমি কখন আসবা যেকোনো সময় কিছু একটা হয়ে যাবে আপু।’







তিনি আরও বলেন, ‘যাও’য়ার পর ওরে অনেকবার কল করেছি ও ধ’রেনি। সেখানে গিয়াও ওরে যখন পাচ্ছি’লাম না তখন বাসার মালিকের ওয়াইফ’কে কল করি। সে জা’নায় এ’ক্সট্রা কোনো চাবি নাই। পরে মা’লিক আমাকে পরা’মর্শ দেন মি’স্ত্রি এনে তালা ভা’ঙার। যখন তালা ভাঙতেছি তখনো ওর কোনো আলাপ না দেখে আমরা ভয় পাই।
ও কোনো রেসপন্স করতেছে না, আমরা ভয় পাচ্ছি কি হচ্ছে কি হচ্ছে, তালা ভেঙে দেখি ও ঝু’ল’ন্ত। এরপ’র পুলি’শ’কে কল করি, ইফ’তা’রের পর পুলি’শ আসে।’







নুসরাত বলেন, ‘পু’লিশ আসলে উপরে যাই, যাওয়ার পর দেখ’লাম ও ঝু’ল’ন্ত অ’বস্থা’য় আছে কিন্তু তার পা বিছানায়। পা দুটা হা’ল’কা বিছানায় বাঁকা। বিছানা খু’ব পরি’পাটি ছিল, বিছা’না’য় যদি সেই শুই”তো বা উঠে দাঁ’ড়া’তো একটু সি’ন্ড্রম’, মানে খুব পরি’পা’টি ছিল। একটা সিট ছিল সেটাও পরি’পা’টি ছিল। পরে পু’লি’শ ওরে নিচে নামায়।’
মুনি’য়ার মৃ’ত্যু’র ঘ’ট’নায় পু’লিশ সহযো’হিতা করে’ছিল কিনা- এমন প্র’শ্নের জবা’বে নুসরাত বলেন, ‘পুলি’শ আ’মাকে সহ’যো’গিতা করতে বাধ্য ছিল। সব কিছু প্রমাণ ছিল ওই বাসায়। আমা’র বোনের সাথে ছবি, ও প্র’তি’নিয়ত ওই বাসা’য় যে’ত। তাকে নিয়ে অগ’ণিত লেখা, ছবি আঁ’কতো, সব কি’ছু হাতে। তার মোবাইলে অ’নেক কিছু আছে, যা পুলি’শে’র কাছে। ডা’য়ে’রিতে সব লি’খে’ছে কী কী করছে।’







এ ছাড়া নুস’রাত আরও বলেন, ‘আ’মার বাবা এক’জন মুক্তি’যো’দ্ধা ছিলেন। অনেক সৎ ছিলেন। আ’মাদের শহ’রের সবাই জানে ওনারা কেমন ছিলেন। ওনারা নেই, ওনাদের সন্তা’ন, এতিম এক’টা মেয়ে। তার সাথে যা হয়েছে।
আমি তার সু’ষ্ঠু বিচার চাই। প্রধা’নমন্ত্রী শেখ হাসি’নার কাছে বিচার চাই। বাংলা’দে’র সবকি’ছুর ঊর্ধে তিনি, তার কাছে আমার সন্তানের মতো বোনের অ’পমৃ’ত্যুর বিচার চাই। সে হয়তো অনেক বড় কিছু… তাই বলে কি বিচার পাবো না (কান্না)? আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো কিছু চাও’য়ার নাই এটা ছাড়া।’