গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে ভাইরাল করেছে কয়েক কিশোর। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৪ কিশোরসহ ৫ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন।







পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মূল আসামি সুমন মণ্ডলকে (১৮) মোবাইলসহ গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে।







পুলিশ, এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণে জানা যায়, মুকসুদপুর উপজেলার এক সন্তানের জনক এক যুবকের (৩৬) সঙ্গে একই উপজেলার দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ পরকীয়া ছিল। এক পর্যায় ওই গৃহবধূ তার পূর্বের স্বামীকে ত্যাগ করে গত ২৯ মার্চ গোপালগঞ্জ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে দুইজনই নিজেদের বিবাহের তথ্য গোপন রেখে প্রায়ই অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতেন।







এ ঘটনা নজরে আসে এলাকার কয়েক কিশোরের। গত ১৬ এপ্রিল রাতে ওই যুবক তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর সময় এলাকার কয়েক কিশোর তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে ভাইরাল করে দেয়। এতে মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় চাউর হলে তুমুল আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।







ওই যুবক জানান, কিশোর সুমন মণ্ডলসহ কয়েকজন আমার ও আমার স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওরা ওই ভিডিও বিভিন্ন মোবাইলে ছেড়ে দেয়। আমি এর বিচার চাই।







উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন জানায়, ওই যু্বক এর আগেও কয়েকটি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটিয়েছে।







মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, মূল ভিডিও ধারণকারী কিশোর সুমন মণ্ডলকে মোবাইলসহ গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে