বাংলা,দেশে প্রতি চার জন মেয়ে শি,শুর মধ্যে এক,জন যৌন নি,পীড়নের শিকা,র হয়৷ আর প্রতি ছয় জন ছেলে শি,শুর মধ্যে যৌন নিপী,ড়নের শিকার হয় একজন৷ শুধু পু,রুষ নয়, শিশুরা কখ,নো কখনো না,রীর হাতেও যৌন হয়,রা,নির শি,কার হয়৷







আর শত,করা ৭৫ ভাগ যৌন হয়,রানির ঘটনাই ঘটে পরিবা,রের ঘনি,ষ্ঠজন, বন্ধু বা আত্মী,য়দের মাধ্যমে৷
শিশু,কালে এরকমই কিছু যৌন নিপী,ড়নের ঘটনা তুলে ধরেছেন এক নারী চিকি,ৎসক। নিচে ঘটনা,গুলো তুলে ধরা হলো-







ঘটনা ১:
বয়স তখন পাঁচ কি ছয় হবে। সে সময় প্রায় বাসায় আসতো দুই,জন মামা। তখন আমরা সুই,ডেনে। আব্বা-আম্মা কা,জের কা,রণে যখন বা,ইরে যেতো তখন আমা,কে রেখে যেতো পাশের এক আ,ন্টির বাসায়। আ,ন্টি,র মেয়ের সঙ্গে আমি খেলতা,ম। হঠাৎ একদিন ওই দুই মামা এলো আ,ন্টির বাসায়। আন্টির কি এক জরু,রি কারণে বাইরে যাবেন। তাই আমাদের দু’জনকে নি,রাপদ স্থান ভেবে ওই দুই নরপ,শুর কাছে রেখে যায় আন্টি। দুইজন আমাদেরকে কোলে নিয়ে যখন আদর করছিলো…আমি ভয় পাচ্ছিলাম। একটা আতঙ্ক, ভয় আর অস্বস্তিতে নিজেকে ছাড়া,নোর চেষ্টা। বুঝ,লাম এরা দৈত্য।







এরপ,র তারা অনে,কবার আ,মাদের বাসায় এসেছে। তা,দেরকে দেখলেই দৌড় দিয়ে অন্য রুমে চলে যেতাম। আর চোখে পানি চলে আসতো তাদে,রকে দে,খলেই। ভয়ে কখ,নো,ই বলতে পা,রিনি আব্বা-আ,ম্মাকে। কিসের ভয় সেটা এখনো জানি না। তবে, এখনো তাদেরকে দেখলে আমি চিনে ফেলবো।







ঘটনা ২:
তখন আমি তৃ,তীয় শ্রেণিতে পড়ি। কোন জানি একটা ব্যাংকে চাকরি করতো এমন এক,জন শিক্ষক আমা,কে বাসায় পড়াতে আ,সতো মাগ,রিবের আগে-আগে। বাসায় এসে নামাজ পড়তো। নামাজে যাবার সময় আমাকে বলতো, মোনাজাতের সময় ডাকবো, এসো। গেলাম মো,নাজাত করতে, সে জায়,নামাজে বসে আমাকে কোলে নিয়ে মোনাজাত কর,তো আর আমি বুঝতাম কোনো শক্ত একটা কিছু আমা,র শরী,রে আঘাত করছে। শরী,রের মধ্যে অস্বস্তি আর ভয় লাগতো।







ওই অব,স্থাতেই সেই নরপশু মোনাজাত শেষ করতো। এরপর আমি আমাদের বাসার খালাকে ( যে বাসায় কাজ করতো) বললাম, খালা.. স্যার যখন আ,মাকে ডাকে মোনা,জাতের জন্য, তখন আমি যেতে চাই না, আর না গেলেও আব্বাকে বলবে আমি মোনাজাত করি না, পরে আব্বা বকবে আমাকে। আপনি কি দর,জার ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পার,বেন? খালা মনে হয় ব্যাপার,টা বুঝে,ছিলো।







তার দু’একদি,নের মধ্যেই আমার সামনে গিয়ে তাকে গালা,গালি করে বাসা থেকে বের করে দেয়। অনেক শান্তি লেগে,ছিল তখন। কিন্তু, বলতে পারি,নি আব্বা-আ,ম্মাকে।







ঘটনা ৩:
তখন আমি দশম শ্রেণির ছাত্রী। রায়ের বাজার স্কুলের এক,জন ইংরেজির শিক্ষ,ক আমাকে বাসায় পড়াতে আসতো। পড়ানো রু,মটা ছিলো বাসার সব,চেয়ে কর্নারের। তার চোখ মুখের চা,ওনি ভালো লাগতো না। একদিন আব্বা-আ,ম্মা একটা বিয়ের দাও,য়াতে যাবে, যাবার সময় দেখা করে গেল আমার সঙ্গে। আমি তখন ওই নরপশুর কাছে পড়ছি,লাম। সেদিনই হঠাৎ ওই নর,পশুর আসল চেহা,রাটা দেখি। উঠে এসে প্রথমে বুকে হাত দেয়, তারপর জোর করে ঠোঁটে….।







শরী,রের সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে ধাক্কা দেই। আর জীব,নের প্রথম প্রতি,বাদ করি, জোরে গালে একটা চড় দেই। তার,পর আমাকে পড়াতে আর কখ,নো আসে,নি।
আম্মা আমাকে জি,জ্ঞেস করেছিল, কেন আসে না? আমি ভয়ে বলতে পারিনি। ভেবেছি, আম্মা যদি না বুঝে। আর আমাকে যদি খারাপ ভাবে। শুধু বলেছি, সে আর আসবে না… কারণ, সে বিদেশে চলে যাবে।







ঘটনা ৪:
গাউ,ছিয়া-চাঁদনী চকের মাঝে খুব ভিড় হতো। তখন আমি ডেন্টালে পড়ি। মা,র্কেটে গেছি আমার না,নীর সঙ্গে। বার বার পেছন থেকে একটা হাত আমার বুকে আবার কখনো পেটে। মনে মনে সিদ্ধা,ন্ত নিলাম, হাতটা ধর,বো। ঠিকই হাতটা ধরলাম। শক্ত করে ধরে নখ বসিয়ে দিয়েছি,লাম। তারপর ঘুরে তাকালাম। দেখলাম, সিটি কলে,জের ব্যাচ পড়া এক ছাত্র। তখনো নখ ডাবি,য়েই রেখেছি,লাম হাতে। ততোক্ষণে লোক,জনের ভিড়। সবাই হাত ছেড়ে দিতে বলল। তাকে শুধু একটা কথাই বলে,ছিলাম, এরপর থেকে কোনো মেয়ের শরীর ধরার আগে জিজ্ঞে,স করে নিবি, শুয়ো,রের বাচ্চা।







ঘটনা ৫:
তখন আমি এক বাচ্চার মা। পেটে,র ব্যাথা নিয়ে যাই ডাক্তা,রের কাছে। ঘু,রিয়ে পেঁচিয়ে সে আমার দুলাভাই হয়। বেটা তো ডাক্তা,র না, আসলে একটা…। stethoscope টা দিয়ে কোন কৌ,শলে Breast এ হাত দিতে হয় তা তার ভালোই জানা, বুঝ,লাম। এখানেও নিরাপদ না। আসার সময় তার মুখে থুথু মেরে এসে,ছিলাম। আর সেদিন সরাসরি যাই আ,ব্বার কাছে। ঘটনাটা বলি। তার,পর, একটা সময় সে মাফ চায়। কিন্তু, এদে,রকে কখনো মাফ করতে নেই। তাই, মরলেও মাফ করবো না।







হয়,তো এমন ঘটনা অনে,কের জী,বনেই আছে। আমরা শিশুকালে বলতে পারি না, পরে নিজেকে নিজে তৈরি করি, হই প্রতি,বাদি। একটা সময় আব্বা-আম্মা,কেও বলতে পারিনি। কারণ, প্রচন্ড ভয় পেতাম আর তাদে,রকে বন্ধু মনে করতে পারিনি। আমারও মেয়ে আছে। আমি আমার মেয়ের সঙ্গে সব রকম গল্প করি। চাইনা ওর জীব,নে এমন কিছু ঘটুক।







মেয়ে সন্তা,ন একটু বড় হবার সঙ্গে সঙ্গেই মা হিসাবে উচিৎ, এসব নরপ,শুদের সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়া এবং নি,শ্চিত করা, এটা তার (মেয়ের) দোষ না। আমা,দের পৃথি,বীতে এখনো এদে,র বসবাস আছে। তবে, এরা মুখোশ পড়া।







আজ এ ঘট,নাগুলো লি,খেছি সক,লের নিরাপত্তার জন্য। জানি না আমাকে কে কি ভাবছেন। হয়তো কেউ-কেউ আমা,কে নির্লজ্জ বল,বেন। তবে, একটা কথাই বলব, নি,রাপদ রাখু,ন আপ,নার শিশুকে। আর নারী তুমি রুখে দাঁড়াও।