






নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের আটকের ঘটনা জানার পর তার স্ত্রী এবং সন্তানরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেনএবং বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছে। তারা বাসায় ফেরেননি এখনও। এদিকে মামুনুলের রিসোর্ট সঙ্গীনির খোঁজও মিলছে না।
তিনি মোহাম্মদপুরের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন বলে বিষয়টির খোঁজ খবর রাখা নারায়ণগঞ্জ পুলিশের একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য মিলেছে। তবে সেই নারীর অবস্থান এখন কোথায়, সেটি জানতে পারেননি তিনিও। মোহাম্মদপুরে যে মাদ্রাসায় মামুনুল হক শিক্ষকতা করেন, সেখানে তিনি গেছেন বলে দাবি করেছেন তার দল খেলাফত মজলিসের এক নেতা। যদিও সেই মাদ্রাসার নিরাপত্তা রক্ষী বলেছেন উ’ল্টো কথা।







মামুনুল ঢাকায় থাকেন মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এর এক নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে। সেটির নিরাপ’ত্তা কর্মী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মামুনুল হক সাহেব ওই দিনের ঘটনার পর আর বাসায় আসেননি। উনি বাসায় নেই।’ তিনি এখন কোথায় আছেন- এমন প্রশ্নে ইকবাল বলেন, ‘আমি জানি না। আমি গার্ড আমি এত কিছু বলতে পারব না।’শনিবার রিসোর্টে যাওয়ার দিন সকালে মামুনুল এই বাসা থেকে বের হন একা।







ফেসবুকে রিসোর্টকাণ্ডের লাইভ শুরু হওয়ার পর তার ছেলেদেরকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান তার স্ত্রী। রিসোর্ট কাণ্ডের পর স্ত্রী ও ছেলেরাও বাসায় ফেরেননি বলে জানান নি’রাপত্তা রক্ষী ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘তিন দিন হলো তারাও কেউ বাসায় নেই। কোথায় গিয়েছেন বলে যাননি।’ শনিবার সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে নারী নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে হেফাজত নেতা দাবি করেন ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।







যদিও তার দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা ঘটনায়। সেই নারীর নাম, শ্বশুরবাড়ি, শ্বশুরের নাম সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে সেই নারীর দেয়া তথ্যের কোনো মিল নেই। মামুনুল বলেছেন, তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আমেনা তইয়্যেবা। বাড়ি খুলনায়, শ্বশুরের নাম জাহিদুল ইসলাম। তবে সেই নারী জানিয়েছেন তার নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা, বাবার নাম অলিয়র, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়।







কয়েক ঘণ্টা অ’ব’রু’দ্ধ রাখার পর সেই রাতে রিসোর্টে হামলা করে মামুনুলকে ছি’নি’য়ে নেয় হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাতেই তিনি ঢাকায় ফেরেন। সারা দেশে তো’লপা’ড়ের মধ্যে মামুনুল চার ভাইকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, সেই নারী তার ঘ’নি’ষ্ঠ বন্ধুর স্ত্রী। পারিবারিকভাবে তারা বিয়ে করেছেন। দুই দিন পর মামুনুলের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায় হেফাজত নেতারা জরুরি বৈঠকের পর দাবি করেন, মামুনুল তার দ্বিতীয় বিয়ের যে কথা বলেছেন, সেটি ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ।







তবে এরই মধ্যে মামুনুলের একটি ভিডিও ছড়িয়েছে, যেখানে তিনি এক প্রশ্নের জবাবে মহানবী (সা.) এর হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোনো মেয়ে বিয়ে করলে তার সেই বিয়ে বাতিল। এ বিষয়ে অবশ্য হেফাজত নেতারা কোনো ব্যাখ্যা দেননি। মামুনুলের সেই মাদ্রাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। ফটকে নি’রাপ’ত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আল আমিন বলেন, ‘উনি গত কয়েক দিন মাদ্রাসায় আসেননি।







এখন কোথায় আছেন আমি জানি না।’ ভেতরে দায়িত্বশীল কেউ আছেন কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভেতরে মাস্টার্স (দাওরায়ে হাদিস) পরীক্ষা চলছে। প্রবেশ নি’ষেধ রয়েছে।’ মাওলানা মামুনুল হক সবশেষ কবে এসেছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবশেষ কবে এসেছিলেন আমি বলতে পারব না।’ এদিকে হেফাজত নেতার রাজনৈতিক দল খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি বলতে পারছি না উনি কোথায় আছেন।







আপনি আমাদের দলের আজিজুর রহমান হেলালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’ এরপর আজিজুর রহমান যা বলেছেন সেটি জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার নি’রাপ’ত্তার’ক্ষীর বক্তব্যের বিপরীত। খেলাফত মজলিস নেতা বলেন. ‘উনি আজকে মিটিংয়ে ছিলেন। মিটিং মোহাম্মদপুরে রহমানিয়া মাদ্রাসায় হয়েছিল।’