পুলিশ রাষ্ট্রের অপরিহার্য একটি অঙ্গ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান তাদের দায়িত্বে। তাই প্রত্যাশা সংগত যে তারা দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনকে মূলনীতি হিসেবে অনুসরণ করবে।
নতুন খবর হচ্ছে, রাজধানীতে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ার জের ধরে এক নারী চিকিৎসক পুলিশ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। ওই নারীর আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।







ভিডিওতে দেখা যায়, চিকিৎসক ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তুই-তুকারি করতে থাকেন। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করা ওই নারী পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই, তাই তুই পুলিশ। আমি চান্স পাইছি তাই আমি ডাক্তার।’
আরও খবর পড়ুন :
এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিশুর উপর পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন







কক্সবাজার শহরের ফদনার ডেইল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাদিয়া সুলতানা নুরী (৯) নামের এক শিশুর উপর পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নুরী একই এলাকার মো: ইলিয়াছের কন্যা ও কক্সন মাল্টিমিডিয়া স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।তবে ঘটনার বিষয়ে আহত শিশুর পরিবার ও এলাকার লোকজনের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে।







আহত শিশু নূরী বলে, প্রতিবেশী রহমানের বিয়ে বাড়ি থেকে আসার পথে স্থানীয় সাজেদা বেগম সাজু আমাকে ডাক দেয়। পরে তিনি আমাকে নিয়ে মহোছেন বৈদ্যর বাসায় ডুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সেখানে মহোছেন, রফিক ও সাজু আমাকে লোহার রড ও বেত দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। চামচ গরম করে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাঁকা দেয়। মারধরের এক পর্যায়ে আবারো তারা চামচ গরম করতে গেলে মহোছেন বৈদ্যর স্ত্রী দরজা খোলে আমাকে পালিয়ে যেতে বলে। তখন আমি দৌড়ে রাস্তায় এসে চিৎকার শুরু করি। আমার শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে।







আহত শিশুর মা রোজিনা আক্তার দাবি করেন, তার মামলার আসামি সাজেদা বেগম ও তার সহযোগীরা তার মেয়ে সাদিয়া সুলতানা নুরীকে বেঁধে রেখে মারধর করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। বর্তমানে সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধর ও আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে চামড়া তুলে নেওয়ার ক্ষত রয়েছে। বর্তমানে ওর অবস্থা ভালো নয়।
এলাকার একজন রাজনৈতিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, উভয় পরিবারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে শত্রুতা দীর্ঘদিনের। আহত শিশুর মা রোজিনা আকতার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাভোগ করেছেন। তাই প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে প্রতিশোধ নিতে রোজিনাও এ ঘটনা ঘটাতে পারেন। এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার।ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এস.আই রাজিব পোদ্দার বলেন, নুরীকে অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে নির্যাতন চালিয়েছে মহোছেন বেদ্য, আবছার ও আরো কয়েকজন।







কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, শিশুটিকে আমি দেখেছি। তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে বিষয়টি তদন্ত করতে ও ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের তৎপরতা চালাচ্ছে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি