






প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে চলমান লকডাউনের সময়সীমা বৃ’দ্ধির সম্ভাবনা আছে। নরমে-গরমে লকডাউন ঈদের ছুটি পর্যন্ত বহাল রাখার প্রয়োজন হতে পারে। বর্তমানে যে মাত্রার লকডাউন চলছে অর্থাৎ শিল্পকারখানা ও ব্যাংক খোলা রেখে যেভাবে চলছে তা আরো এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। এরপরে আরেকটু ছাড় দিয়ে কিভাবে লকডাউন চা’লানো যায় সেই চিন্তা চলছে।







গত এক সপ্তাহের লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আগামী সোমবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই লকডাউনের সময়সীমা বৃ’দ্ধির বি’ষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে। সেই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠালে প্রধানমন্ত্রী যে সি’দ্ধান্ত দেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
ক’রোনা ভাই’রাসের সং’ক্র’মণ রোধে গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল স’রকার। তারই ধারাবাহিকতায় ৫-১১ এপ্রিল অফিস-আ’দালত খোলা রেখে সীমিত মাত্রারা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ওইসব পদক্ষেপ কার্যত কোনো ফল দেয়নি। ফলে ১৪ এপ্রিল স’রকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক লকডাউনের ঘোষণা আসে।







কিন্তু গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া আনুষ্ঠানিক আদেশে সর্বাত্বক লকডাউনের ঘোষণা আসেনি। সেখানে কল-কারখানা খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। খোলা আছে ব্যাংকও। এই অবস্থার লকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। চলতি লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
চলমান লকডাউনে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে যেতে পু’লিশের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে ‘মুভমেন্ট পাস’। ক’রোনারোধে স’রকারের এসব বিধিনি’ষেধ পালনে কিছু সুফল মিলা শুরু করেছে। তাই এসব কিছু বিবেচনায় চলমান লকডাউনকে অন্তত আরো এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তে পারে।







এ কাজের স’ঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স’ঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মন্ত্রিপরিষদ স’চিবের নেতৃত্বে লকডাউন নিয়ে হওয়া গত সপ্তাহের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ১৪ দিনের কথা আলোচিত হয়েছে। কিন্তু স’রকারের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ করে লকডাউন দেওয়ার সি’দ্ধান্ত হয়। তাই ২১ এপ্রিলের পর বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতি আরো এক সপ্তাহ বাড়ছে এটা মো’টামুটি নিশ্চিত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স’রকারকে অন্তত ২১ দিনের লকডাউন দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষের জীবন-জীবিকাসহ সবদিক চিন্তা করে স’রকারকে সি’দ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।







প্রশাসনিক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটিসহ একাধিক পক্ষের স’ঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ক’রোনাভা’ইরাসেের আ’ক্রমণের যে শ’ক্তি তা ভ’য়ঙ্কর। তাই এই যাত্রায় দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে লম্বা সময়ের জন্য দূরপাল্লার বাস, বিনোদন কেন্দ্র, সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
এমন অবস্থায় বর্তমান লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চললে এরপর ঈদকে সামনে রেখে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স’রকার বিশেষ কিছু বি’ষয়ে ছাড়া দিতে পারে। অর্থাৎ সং’ক্র’মণের হার কমতে থাকলে কিছুটা ছাড় মিললেও সেটা খুব সামান্য বি’ষয়ে হতে পারে।







এভাবে বর্তমানে যে গরম পর্যায়ের লকডাউন চলছে তা সামান্য নরম হতে পারে। কিন্তু সেই নরমমাত্রা দূরপাল্লার বাস চালুর অনুমতি মিলার সম্ভাবনা কম। বন্ধ থাকবে সব বিনোদন কেন্দ্রও। এভাবে ঈদের ছুটি পর্যন্ত সং’ক্র’মণের মাত্রা নি’য়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে স’রকার।