সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটা নিউজ চোখের সামনে ভাসছে সেটি হল 71 টিভির উপস্থাপিকা ফারজানা মিথিলা হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেয়েছে এবং তাকে আটক করেছে র্যাব। এই নিউজটি কতটা সত্যি ,ক্রাইম নিউজ বাংলাদেশ ইনভেস্টিগেশন করে সত্যিটা জানতে পেরেছে,







পুরোটাই একটি গুজব এবং এই এই গুজবের উৎপত্তিস্থল “দৈনিক বালের কন্ঠ” নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আপনারা নিউজ পোর্টালের নামটা শুনে বুঝতে পারছে্ বালের কন্ঠ, আপনারা গুগলে বালেরকন্ঠ লিখে সার্চ দিলেই অনলাইন পোর্টাল পেয়ে যাবে্ এই পোর্টালের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে এবং অনেক ধরনের আজেবাজে ও হাস্যকর আপত্তিকর ১৮+ প্লাস নিউজ দিয়ে ভরা, নিউজ পোর্টালের লিংকঃ balerkontho.net
আপনাদের বোঝার সার্থে একটা স্কিন সট দেওয়া হল







এই নিউজ পোর্টালটি সম্প্রতি এই গুজব ছড়িয়েছে পরবর্তীতে এই নিউজ থেকে কপি হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের নিউজ পোর্টাল এই গুজব ছড়ানো হয়,পুরো সংবাদটি মিথ্যা তাই আপনারা কি মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত হবেন না এবং মিথ্যা তথ্য শেয়ার করবেন না







দৈনিক কালেরকন্ঠ পত্রিকার নামের সাথে মিল রেখে তৈরি করা ভুয়া একটি ওয়েবসাইটে (1wwwbalerkontho.wordpress.com) গতকাল রাতে প্রথম এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছিলো এবং এরপরেই প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবেদনটিতে ‘গত বুধবার তাকে বাড্ডার একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করা হয়’ উল্লেখ থাকলেও টিম রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত বুধবার অর্থাৎ ২১ এপ্রিল রাত ১১:৪০ মিনিটে মিথিলা ফারজানা একাত্তর টিভির নিয়মিত টকশো একাত্তর জার্নালে সঞ্চালনা করেছেন, ভিডিওটি দেখুন এখানে।







সর্বশেষ গতকাল রাতেও তিনি একই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন। ভিডিওটি দেখুন এখানে।







সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে উনি রাজধানীর বাড্ডা থেকে আটক হয়েছেন, আর তার স্বামী জিডি করেছেন মিরপুর থানায়। তবে সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা রাজধানীর নিকেতন আবাসিক এলাকায় থাকেন, যা গুলশান থানার আওতাধীন।







অর্থাৎ, জিডির তথ্যটি সত্য হলে জিডি হওয়া উচিত বাড্ডা কিংবা গুলশান থানায়, মিরপুর থানার সংশ্লিষ্টতা এখানে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।
অর্থাৎ জিডির তথ্যটিও অসমাঞ্জস্যপূর্ণ।
ঘটনার অধিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ‘কথিত জিডির’ তথ্য সম্পর্কে জানতে মিথিলা ফারজানার স্বামী জোতি জয়নুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টিম রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “তার স্ত্রীর নামে প্রচারিত আটকের তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও অপপ্রচার। এবং এই কথিত ইস্যুতে তিনি দেশের কোন থানায় কোন জিডি করেন নি”।







মূলত, যে ছবিটিকে মিথিলা ফারজানার আটকের ছবি দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে সেটি ২০১৭ সাল হতে নারী সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতীকী ছবি হিসেবে কিছু ভূঁইফোড় পোর্টাল ও ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে আসছে, দেখুন নিচেঃ







উল্লেখ্য, উক্ত সংবাদে উল্লেখিত সময়ে বাড্ডা হতে কাউকে আটকের কোন তথ্য র্যাবের মিডিয়া উইং হতে সংবাদমাধ্যম গুলো জানানো হয়নি এবং এ সংক্রান্ত কোন তথ্য র্যাবের ওয়েবসাইটেও নেই।







সুতরাং, “হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় র্যাবের হাতে আটক একাত্তর টিভি উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব।
\






