যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় সিলেটের বেসরকারি লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম চৌধুরীসহ (৩৩) চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে আজ বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর কেওয়াপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী (২৮)।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন আশরাফুল ইসলামের বাবা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আবুল কালাম চৌধুরী (৫৫), খালু সাতকানিয়া উপজেলার মনিয়াবাদ গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিন (৫০) ও মামা একই উপজেলার পশ্চিম ডেমশা গ্রামের মো. মনসুর আলম (৪৮)।







এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম জানান, আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ২০১৬ সালে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তিনি তার খালার প্ররোচনায় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন।







একপর্যায়ে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে এসে নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন আশরাফের বাবা, খালু ও মামা। আসবাবপত্র কেনা এবং আশরাফকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ পাঠানোর কথা বলে স্ত্রীর কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তারা।







আশরাফের স্ত্রী বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হয়। এরপর আপোস মীমাংসার চেষ্টা করেও সুরাহা না হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন নির্যাতিত স্ত্রী।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।






