বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি ও পাদদেশে আ’নন্দচিত্তে ছোটাছুটি করছে ছোট ছোট শি’শুরা।







করো’নার ভীতি থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শি’শুদেরকে স’ঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন বাবা মা ও স্বজনরা। তাদের আবদার মেটাতে জাতীয় পতাকা, বেলুনসহ বিভিন্ন পণ্য ও খাবার সামগ্রী কিনে দিচ্ছেন অ’ভিভাবকরা।







দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় হঠাৎ চোখ পড়ে বেদির সামনে কালো বোরকা পরিহিত আট কিংবা নয় বছর ব’য়সী একটি মে’য়ে সুললিত কণ্ঠে সুরা পাঠ করছে।







পাশেই একই রঙয়ের বোরকা পরিহিত এক না’রীকেও বসে থাকতে দেখা যায়। সুরা পাঠের পাশাপাশি শি’শুটি ও ওই না’রী দুহাত পেতে আছেন। বেড়াতে আসা লোকজনের মধ্যে দু-চারজনকে পেতে রাখা হাতে ৫/১০ টাকা অনুদান দিতে দেখা যায়।







এছাড়া তার স’ন্তানরা স্থানীয় ম’সজিদে আরবি পড়ে। রুবির স্বপ্ন ছে’লে-মে’য়েদের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলবেন। কিন্তু টাকার অভাবে তাদেরকে মাদরাসায় ভর্তি করাতে পারছেন না।







রুবি শুরুতে আজই প্রথম সাহায্যের জন্য হাত পেতেছেন বলে জানালেও পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন ছোট ছোট ছে’লে-মে’য়েদের বাসায় একা রেখে বাইরে কাজে যেতে সাহস পান না,







তাই গত কয়েকমাস ধরে তিনি ভিক্ষা করে সব খরচ মেটাচ্ছেন।অনুরোধ জানিয়ে রুবি বলেন, কোন দয়াশীল মানুষ যদি আমা’র স’ন্তানদের মাদরাসায় পড়ার খরচ চা’লানোর দায়িত্বটা নিতেন, তাহলে আমি চা ও পানের একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে ঘরের খরচ চালাতে পারতাম।






