রাজশাহী মহানগরীতে জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের পাশেই অবস্থিত আবাসিক হোটেল সুর্যমুখী ২০ বছর ধরে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে । নগরীর ছোট -বড় সকলেইরই জানা এই হোটেল নামে আবাসিক কিন্তু দেহ ব্যবসাই এই হোটেলের মূল ব্যবসা। কালের বিবর্তনে এই হোটেলের মালিকানা পরিবর্তন হলেও নুন্যতম পরিবর্তন ঘটেনি দেহ ব্যবসায়।







দাপটের সাথে আবাসিক হোটেল সুর্যমুখী ২০ বছর ধরে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।







এই হোটেলের গুরুদ্বায়িত্ত্ব পালন করছেন শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা মনির হোসেন,যিনি রাজশাহী মহানগরীর পতিতা ব্যাবসার অন্যতম প্রধান গডফাদার।বিশেষ সুত্র থেকে জানা যায় , এই মনিরের খপ্পরে পরে পতিতা ব্যাবসায় নামতে বাধ্য হয়েছে অসহায় অনেক যুবতী।আর এখন তো সন্ধার পরেই বসে ইয়াবা আর মদের আসর যার ফলে, নিঃশ্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেক যুবক।







অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর সহেববাজার বড় মসজিদের পাশে আবাসিক হোটেল সুর্যমুখীর কেয়ার টেকার মনির দীর্ঘ দিন যাবত যুবতীদের দিয়ে আবাসিক হোটেল সুর্যমুখী সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে রমরমা ভাবে পতিতা ব্যবসা করছে।গোপন এটি সূত্রে জানা গেছে, মনিরের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে অনেক যুবতী, তার কথা না শুনলে ভয়ভীতি দেখায়।







অশ্রুশিক্ত চোখে কয়েক জন পতিতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা এখন রক্ষিতা আর পতিতার পরিচয় নিয়ে বেঁচে আছি। আমরা এ জীবন থেকে মুক্তি চাই। পতিতা ব্যাবসায়ী মনিরের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন।







সুত্রে জানা যায়, আবাসিক হোটেল সুর্যমুখীর ৩য় তালায় ২৬ নম্বর রুমটিতে দিনের বেলায় মেয়েদের রাখা হয়। আর রাতে রাখা হয় ১০,১২,১৪,১৮ নম্বর রুমে। মনির শহরের আবাসিক হোটেল এবং নারী পিপাসু ব্যাক্তিদের কাছে সুন্দরী নারীদের জিম্মি করে সরবরাহ করে থাকেন। রাত গভীর হলে বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে তাদের গন্তব্য স্থানে পাঠিয়ে দেয়।







মনিরের অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে ভয়ে কেউ কিছু বলে না। তার এসকল অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসিয়ে দেয় তাদের লাঞ্চিত করে থাকেন।
উল্লেখযোগ্য যে, বিগত বছরগুলোতেও হত্যার মত নৃসংস ঘটনা গতেছে এই হোটেলে।







শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা মনির হোসেন। অভাবী পরিবারের সন্তান হবার কারণে খুব অল্প বয়স থেকে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন অসামাজিক ও অবৈধ কাজে।মনির হোসেন রাজশাহীতে পদার্পণ করেন আনুমানিক ২০০৭ সালের দিকে, মূলত দেহ ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই প্রাথমিক অবস্থায় রাজশাহী আবাসিক হোটেল সুর্যমুখীতে বয় হিসেবে নিয়োগ পান এই মনির।







ধীরে ধীরে পতিতা মেয়েদের সংগ্রহের বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতার উত্কর্ষে পৌছান মনির ।কখনো কখনোতো নিজেই বলেন তিনিই এখন এই হোটেলের মূল মালিক। দেশের বিভিন্ন অপরাধ প্রবণ অঞ্চল থেকে চরমপন্থি, জেএমবি ও সর্বহারার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকেও তার এই হোটেলে আশ্রয় দিয়ে থাকেন বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়।’







আর সম্প্রতি দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মনির যুক্ত হয়েছে মাদক ব্যবসায়।মনিরের এই অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ । নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা চালাচ্ছে বলে প্রশাসনেরও কোন ভ্রুক্ষেপ নাই এ ব্যাপারে।







তবে সচেতন মহল মনে করছে -এখনই যদি এর প্রতিকার না হয় তবে আগামী প্রজন্মর ভবিষ্যত অন্ধকার ছাড়া আর কিছু নয়।
আরো খবর পড়ুনঃ
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর প্রেম, অতঃপর ১ বছরের মাথায় সন্তান জন্ম দিল কিশোরী







অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া দুই বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে নিজেদের বাড়ির পাশের দিনমজুরের কিশোরী কন্যাকে (১৪)। ঘটনাটি নিয়ে সালিস-দরবার, দফায় দফায় মীমাংসার চেষ্টা হলেও কিশোরী সন্তান সম্ভাবা হয়ে ওঠে।







এ অবস্থায় সর্বশেষ সালিসে সন্তান নষ্ট করে কিশোরীকে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্তে ঘটনাটি জানাজানির পর পুলিশ কিশোরিকে উদ্ধার করে মামলা নেয়। এর মধ্যে ধর্ষিতা কিশোরী সন্তান জন্ম দিলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে অভিযুক্তরা।







দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) আদালতে দাখিলের পর অভিযুক্ত দুই তরুণ জামিনে আসলে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় ধর্ষিতার পরিবারকে।
এ দিকে ধর্ষিতার ঘরে জন্ম নেওয়া ছেলে সন্তান ধর্ষকদের সামনেই বড় হচ্ছে নানা অপবাদে। প্রতিনিয়তই ‘নষ্টা মেয়ে’ ডাক শুনতে হচ্ছে ধর্ষিতাকে। ঘটনাটি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া গ্রামের।







স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন (১৬) ও মো. আকরাম হোসেনের ছেলে রাকিব মিয়া (১৬) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেলিতে পড়ে।







২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুজনে মিলে নিজেদের বাড়ির পাশের এক দিনমজুরের মেয়েকে জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষকরা। এর মধ্যে বেশ কয়েক দিন দুজনে মিলে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে।







একপর্যায়ে মেয়েটির শরীর খারাপের দিকে যেতে থাকলে পরিবারের লোকজন ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার দাবি করে। মাতব্বরা ঘটনাটি নিয়ে সালিসে বসলেও চাহিদামতো অর্থ না দেওয়ায় সিদ্ধান্তে কালক্ষেপণ হয়। আর এর মধ্যেই মেয়েটি শরীরে পরিবর্তন আসতে থাকে। মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বার বয়স আট মাস হলে তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায়।







২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল দুই ধর্ষক ছাড়াও আট মাতব্বরকে অভিযুক্ত করে মামলা নেয় পুলিশ। এর মধ্যে আটজন কারাগারে গিয়ে জামিনে মুক্ত হয়। অন্যদিকে দুই ধর্ষক থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদিকে ধর্ষিতা জন্ম দেয় এক ছেলে সন্তানের। নাম রাখা হয় জোহান মিয়া। বর্তমান বয়স প্রায় ১৫ মাস।







মঙ্গলবার সকালে খোঁজ নিতে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জন্ম নেওয়া শিশুটি বাড়ির উঠানে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। কাছে ডাকলে শিশুটি আগলে ধরে মাকে। শিশুটির মা জানান, বাবা দিনমজুর। মা পরের বাড়িতে কাজ করে। নিজের সন্তান নিয়ে কোনোমতে বেচে আছি। ভবিষ্যতে কি হবে তা তিনি বলতে পারছেন না। নিজের সন্তানের পিতৃপরিচয়ের স্বীকৃতি না পেলেও তাঁকে প্রতিনিয়তই শুনতে হচ্ছে বিভিন্ন অপবাদ। তাকে যারা ধর্ষণ করেছে তারা জামিনে এসে বাড়িতেই থাকছে। অবাধে চলাফেরা করছে চোখের সামনে দিয়ে।







এর মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত মোবারক হুমকি দিয়ে বলে, আর কয়েক দিনের মধ্যেই মামলা ফিনিস হবে। এরপর মিথ্যা অপবাদের জন্য বাড়ি ছাড়া করা হবে। এ অবস্থায় একধরনের ভয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।







মামলাটি চতুর্থ তদন্ত কর্মকর্তা হয়ে তদন্ত করে চার্জশিট দিয়েছেন নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাসেম।
তিনি বলেন, গত ১৮ আক্টাবর ২০১৯ সালে তিনি আদালতে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন। এর মধ্যে জন্ম নেওয়া সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করানো হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের ডিএনও টেস্ট হয়নি। এখন এটা আদালতের বিষয়।







Share this:
TwitterFacebook