পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আতাইকান্দা গ্রামে বালু মহলের আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পাবনার ভাঁড়ারায় আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার বিচার দাবিতে নিহতের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী।







রবিবার রাতে ভাঁড়ারা ইউপির আতাইকান্দা এলাকায় হত্যার পর মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পথসভায় হত্যার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খানকে দায়ী করে তার গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।







পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে পাবনার ভাঁড়ারা ইউপির আতাইকান্দা গ্রামে গুলিতে হত্যা করা হয় কাথুলিয়া গ্রামের মন্তাই ব্যাপারীর ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী আমিরুল ইসলামকে (৩০)। প্রকাশ্যে হত্যার পর হত্যাকারীরা নির্বিঘ্নে চলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।







স্থানীয় প্রভাবশালীদের পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ।







হত্যার কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানায় তারা।







তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাঁড়ারা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খাঁন ও সুলতান খাঁনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সন্ধ্যার পরে এলাকার মুজিব বাঁধ সংলগ্ন আতাইকান্দা ভাউডাঙ্গা মোড়ে চা খেতে এসেছিলেন আমিরুল। এ সময় আগে থেকেই ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমিরুলকে চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় প্রকাশ্যে গুলিতে হত্যা করে । আমিরুল ইসলাম পূর্বে সর্বহারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও বর্তমানে কৃষি ও রাজমিস্ত্রীর কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।







ঘটনায় পরে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।







জানা যায়, এক সময়ের চরমপন্থী অধ্যুষিত পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান খাঁ গ্রুপে বিভক্ত। আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে উভয়পক্ষে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। ঘটেছে একাধিক হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা।







পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, আমিরুল হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। পাবনা সদর থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।






