গাজীপুর কন্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার স্ত্রী ও ছেলেকে ইয়াবা-বিদেশি বিয়ারসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।







গ্রেপ্তাররা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কামাল উদ্দিন দেওয়ানের স্ত্রী মোছা. শাহিদা বেগম বিনা (৫০) ও তার ছেলে দেওয়ান নাবিদ হাসান তিলক (১৯)।







সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে কালীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী এলাকায় র্যাব-১ এর সিপিসি-৩’র একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে।







জব্দ করা বিয়ার ও ইয়াবা।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১৪০ পিস ইয়াবা ও ১০ ক্যান বিদেশি বিয়ার, একটি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।







সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-৩) মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, কালীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী এলাকায় কামাল উদ্দিন দেওয়ানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক কেনা-বেচার সময় শাহিদা বেগম ও তার ছেলে নাবিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শাহিদার বড় ছেলে নাহিদ হাসান এলিন কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে কালীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতেন।







গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে’ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।







আরো খবর পড়ুনঃ
কালীগঞ্জে জমি কেনার টাকা নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ফারুক পলাতক







কালীগঞ্জের খৈকড়া এলাকায় জমি কেনার টাকা নিয়ে ‘জিম্মি করে’ এক প্রবাসীর স্ত্রীকে (৪০) দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত ফারুক (৪৫) পলাতক রয়েছে।







বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাম্মেল হক।







অভিযুক্ত ফারুক বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া কোনা পাড়া এলাকার মৃত ফজর আলী শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী।







মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া কোনা পাড়া এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর (গৃহবধূ) কাছ থেকে ২০০৭ সালে জমি কেনার কথা বলে ৭ লাখ টাকা নেয় অভিযুক্ত ফারুক। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে ওই গৃহবধূর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে জিম্মি করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে আসছিলো ফারুক।







গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর ঘরে ডুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফারুক। পরবর্তীতে ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা পৌণে ছয়টার দিকে ওই গৃহবধূ মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য অজু করতে গেলে তার ছেলেকে







মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় ফারুক। ওই সময় ফারুকের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূ উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার চুলের মুঠি ধরে কাপড় খুলে জোড় পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে ফারুক। ওই সময় গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে তার ছেলে চলে আসলে তাদের দু’জনকে গলা কেটে হত্যার হুমকি প্রধান করে ফারুক চলে যায়।







পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।







মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাম্মেল হক বলেন, মামলা দায়ের পর থেকে অভিযুক্ত ফারুক পলাতক রয়ছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষণের শিকার প্রবাসীর স্ত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চলছে।






