বহুল আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান বহুরূপী মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে প্রতারণা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।এছাড়া সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।







বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মোহাম্মদ জসিম এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে, প্রতারক সাহেদকে আদালতে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তার উকিল। শাহেদদের মতো প্রতারকদের পক্ষে যে দেশে আইনজীবি পাওয়া যায় সেদেশে সুশাসন কিভাবে সম্ভব?







টাকার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত নিজের নৈতিকা ও আদর্শকে বিক্রি করছি। এসমস্ত উকিলদের কে জুতা-পেটা দরকার। টাকা খেয়ে এখন প্রতারককে সাহায্য করতেছে। যে চুরিকরে আর যে চুরকে সাহায্য করে উভয় সমান অপরাধী। অতএব সাহেদের উকিলও সমান অপরাধী।







করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসায় জালিয়াতির মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয় থেকে সাহেদ ও মাসুদকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ডিবি তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।







এর আগে ভারতে পালিয়ে যাবার সময় বুধবার ভোরে অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে সকাল নয়টায় তাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিয়ে উত্তরার অফিসে যাওয়া হয়। সেখানে তল্লাশি শেষে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা সমমূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়।







বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।







গত ৬ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা টেস্ট না করে ফলাফল প্রদান, হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পায় এলিট ফোর্সটি। এর একদিন পর হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন রিজেন্ট চেয়ারম্যান।






