প’রকীয়া সম্প’র্কের জেরে বরিশালের মুলাদীতে উপজে’লা ছাত্রলীগে নেতা প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই স’ন্তানের জননী আছমা খানম লাকীকে নিয়ে পা’লিয়েছে। এ সময় লাকী নগদ ২০ লাখ টাকা ও ৪ লাখ টাকা মূ’ল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে আছমার শ্বশুর অভিযোগ করেছেন।







আছমা উপজে’লার চরকালেখান ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য এবং চরকালেখান ইউনিয়নের আবুল হাসেম কাজীর ছেলে কুয়েত প্রবাসী মোতালেব কাজীর স্ত্রী। বর্তমানে আবুল হাসেম কুয়েতে রয়েছেন।







আছমা খানম লাকী উপজে’লার ষোলঘর গ্রামের আকতার খানের মে’য়ে। কাজী মুরাদ উপজে’লা সদরের মৃ’ত আতাহার আলী কাজীর ছেলে। এ ঘ’টনায় মঙ্গলবার দুপুরে মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লাকীর শ্বশুর।







আবুল হাসেম জানান, ১৭ বছর আগে মোতালেবের সাথে লাকীর বিয়ে হয়। বিবা’হিত জীবনে তাদের ১ পুত্র ও ১ কন্যা স’ন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনের সময় লাকী সংরক্ষিত ম’হিলা সদস্য প্রার্থী হন। তখন থেকে মুরাদের সাথে তার পরিচয় হয়।







পরিচয়ের সূত্র ধরে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প’রকীয়া প্রেম ও অ’নৈতিক সম্প’র্ক গড়ে ওঠে। বি’ষয়টি গ্রামবাসীও জানে। তারপরও সংসারে দুটি স’ন্তান থাকায় লাকীকে ভালো হওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তাদের অ’নৈতিক সম্প’র্ক চলতে থাকে।







আবুল হাসেম বলেন, বি’ষয়টি আমার ছেলেও অবহিত। ছেলেমে’য়ের মুখের দিকে চেয়ে ক’ঠোর কোন সি’দ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে এ ঘ’টনা ছেলেকে জানানো হয়েছে। সে দ্রু’তই দেশে আসবে। দেশে এসে লাকীকে তালাক দেয়ার বি’ষয়ে সি’দ্ধান্ত নেবে।







তিনি আরো বলেন, ১৬ নভেম্বর লাকী তার প্রে’মিকের সাথে পা’লিয়ে যাওয়ার সময় আমার ছেলের পাঠানো নগদ ২০ লাখ টাকা ও ৪ লাখ টাকা মূ’ল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানান আবুল হাসেম।







অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা জানিয়ে মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান, বি’ষয়টি ত’দন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে।বরিশাল জে’লা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, মুলাদী উপজে’লা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বি’রুদ্ধে অভিযোগের বি’ষয়টি শুনেছি। তার বি’রুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।উপজে’লা ছাত্রলীগ নেতার সাথে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার মন্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।